পিরোজপুর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় শুভ সহ তার সাথে থাকা লোকজনের উপর বোমা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে। তবে বোমা দুইটি বিস্ফরণ হয়নি। সোমবার রাত ১১ টার দিকে পিরোজপুর পৌর শহরের উকিলপাড়া এ গুলি ও বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভ।
পিরোজপুর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভ অভিযোগ করে জানান, সোমবার রাতে স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে পৌর এলাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যুবলীগের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে তিনি সহ পৌর যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে যায়। পরে রাত ১১ টার দিকে শহরের উকিলপাড়াস্থ তার বাসার সামনে এসে তার সাথে থাকা নেতা-কর্মীদের বিদায় দেয়ার সময় হঠাৎ করে কয়েকটি মটোরসাইকেল এসে তার বাসার সামনে থামায়। পরে একটি মটোরসাইকেল থেকে পিরোজপুর শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহাগ শিকদার নেমে তাকে হত্যার উদ্দ্যেশে সিলভার কালারের একটি পিস্তল বের করে তার দিগে একটি গুলি করে। এ সময় তিনি পাশে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে তার শরীরে গুলি লানেনি। এ সময় তার সাথে থাকা নেতা-কর্মীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে অন্য মটোরসাইকেলে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের দিকে দুই বোমা নিক্ষেপ করে পলিয়ে যায়।
পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভ আরো অভিযোগ করে জানান, এ ঘটনার প্রায় ১০ মিনিট পর সন্ত্রাসী সোহাগ ফোনে তাকে হত্যার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করে বলে “বোমা ফোটেনি তবে গুলি তো ফুটেছে”।
এদিকে এ ঘটনার কিছু সময় আগে সন্ত্রাসী সোহাগ সিকদার অস্ত্র সহ শহরের মটোরসাইকেল মহরা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের সত্যাতা নিশ্চিত করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম টিটু জানান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভর উপর হামলার কিছু সময় আগে শহরের টাউন স্কুল মোড়ে তাকে থামিকে সন্ত্রাসী সোহাগ সিকদার জানাতে চায় ফয়সাল মাহাবুব শুভ কোথায় আছে। তখন তিনি সোহাগকে জানান তিনি বলতে পাড়ে না। এ সময় সোমাগ সিকদারের সাথে সিলবার কালারের একটি পিস্তল দেয়া গেছে বলে জানান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম টিটু।
পিরোজপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মিরণ জানান, সন্ত্রাসী সোহাগ সিকদারের নামে বিগত দিনে কয়েকটি মামলা রয়েছে। এছাড়া গত দুইদিন আগে তার নামে সদর থানায় আরেটি মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার না করার কারনেই এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ক্ষমতাশীল এক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় থাকার কারণেই পুলিশ সন্ত্রাসী সোহাগ সিকদারকে গ্রেপ্তার করছে না।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসি নুরুল ইসলাম বাদল জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনাস্থল থেকে বোমা সাদৃশ্য দুইটি বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ দুটো বোমা বা ককটেল নাকি অন্যকিছু তা পরীক্ষার পরেই জানাযাবে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয় হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন