গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় খাগবাড়িতে নমিতা বালা (৩৭) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) বিকেলে উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের খাগবাড়ি গ্রামে এঘটনা ঘটে। তার ডাকচিৎকারে পাশের জয়ধরবাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।এসময় হত্যা চেষ্টাকারীরা তার সঙ্গে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা কানের স্বর্নের দুল এবং তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে কাপড়-চোপর ছিড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে সরেজমিনে গেলে সুখদেব জয়ধর,সাগর জয়ধর,সুবাস জয়ধর,দুলি জয়ধর,কনক জয়ধর, মিনি জয়ধর ও দুলালী জয়ধর বলেন পুর্বশত্রুতার জের ধরে নমিতা বালাকে তার বাড়ির প্রতিপক্ষ মহাদেব বালা,বিউটি বালা,অনিতা বালা,কণিকা বালা, বিনতা বালা সহ আরো কয়েকজনে মিলে তার মুখের মধ্যে কাপর দিয়ে গলায় কাপর পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় নমিতা বালা সেখান থেকে দৌড়ে আমাদের বাড়িতে আত্মরক্ষার জন্য আসলে এখানে এসে ও তারা গলায় কাপর পেচিয়া হত্যার চেষ্টা করে, এসময় তার শশুর বিনোদ বালা ঠেকাইতে গেলে তাকেও তারা মারপিট করে। আমরা গিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা নমিতার কাছ থেকে টাকা পয়সা স্বর্নঅলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দুলালী জয়ধর বলেন আমার কাপর ছিল রসিতে ঝুলানো সেই কাপর দিয়ে নমিতার গলায় পেচিয়ে ধরে। স্হানীয়রা জানান অনুমান ১১ মাস আগে নির্বাচন পরবর্তী সময় নমিতা বালার ছেলে তার ঘরে শব্দ করে সাউন্ড বাজায় সেই সাউন্ড বাজানোকে কেন্দ্র করে রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন সকালে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় নকুল বালা গুরুতর আহত হয়। তখন তাকে প্রথমে কোটালীপাড়া, পরে গোপালগঞ্জ সেখান থেকে খুলনায় নিয়ে গেলে এক সপ্তাহে পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নমিতা বালা,স্বামী বিপুল বালা, ছেলে শিশির বালা,দেবর বিপ্লব বালা ও শশুর বিনোদ বালাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। অপর দিকে নমিতার পেটের বাচ্চা নস্ট করার পাল্টা মামলা করে তার পরিবার এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতা চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর আজ নমিতা বাড়িতে ফিরলে তারা পরিকল্পিত ভাবে নমিতা বালাকে হত্যার চেষ্টা করে। এছাড়াও প্রতিপক্ষ মনোজ বালা তার ছেলে শিশির বালাকে গত ১৫ ডিসেম্বর স্কুল থেকে ইজিবাইকে করে অপহরণ করে বলে শিশিরের মা নমিতা বালা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং নমিতা বালাকে হত্যার চেষ্টা করেন। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন নমিতাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন