সোনাইমুড়ী উপজেলার নদনা ইউনিয়নে কলিম উদ্দিন (৫৫) নামের এক ভাঙ্গারী (পুরাতন মালামাল) ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলাকারি ওই ব্যবসায়ীকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা এবং পুরুষাঙ্গে ছুরি দিয়ে জখম করে। আশংকাজনক অবস্থায় আহত কলিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ শাকতলা গ্রামের নতুন বেপারী বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত কলিম উদ্দিন গাইবান্ধা জেলার ইছামত এলাকার আইনুদ্দিনের ছেলে। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের দানেশ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
রোগির সাথে থাকা তার স্বজনার জানান, গত ১০-১২ বছর যাবত পাঁচবাড়িয়ার দানেশ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসা নিয়ে ভাঙ্গারি জিনিসপত্রের ব্যবসা করে আসছিলেন কলিমসহ গাইবান্ধার কয়েকজন। সারাদিন উপজেলার বিভিন্নস্থানে ভ্যান গাড়ি নিয়ে পুরাতন জিনিসপত্র ক্রয় করে রাতে বাসায় ফিরেন তারা। প্রতিদিনেরমত বুধবার সকালে নিজের ভ্যান নিয়ে দক্ষিণ শাকতলা গ্রামে যান কলিম। সকাল ১০টার দিকে নতুন বেপারী বাড়ির সামনে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মন্নানের ছেলে জুয়েলের সাথে বাকবির্তক হয় কলিমের। এর এক পর্যায়ে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে কলিমের গলায় ও পুরুষাঙ্গে একাধিক জখম করে পালিয়ে যায় জুয়েল। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আশংকাজনক অবস্থায় কলিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, আহত কলিমকে জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন করা হচ্ছে। অপারেশন পরবর্তীতে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কি কারনে বা কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন