সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থী। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তাদের অবস্থা কিছুটা সংকটাপন্ন। জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ জুন) রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা জানান, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। আমরা দ্রুত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। ওটি (পেশাগত থেরাপি) দেওয়ার পর ক্যাবিনে তার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হবে। আমরা চেষ্টা করছি সার্বক্ষণিক তার পাশে থাকার। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্টোরি দেন ওই শিক্ষার্থী। সেখানে লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এটা আমার কর্মফল এবং বোকামির ফল। অনেককেই অনেকভাবে কষ্ট দিয়েছি। ঝামেলায় ফেলেছি, বিরক্ত করেছি। মাফ করে দেবেন সবাই।’
এদিকে পৃথক আরেক ঘটনায় সোমবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গণিত বিভাগের এক ছাত্র। তার স্ট্যাটাসের লোকেশন ট্রাক করে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, ওই ছাত্রের অবস্থাও এখন কিছুটা সংকটাপন্ন। এর আগে নিজের হাতে লেখা একটা চিঠি যুক্ত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি।
সেখানে ওই শিক্ষার্থী লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ কোনোভাবেই দায়ী না। নিজের ইচ্ছায় আমি আত্মহত্যা করছি, আমাকে কেউই প্রভাবিত করেনি। নিজের এ অবস্থার জন্য আমি নিজেই দায়ী। আমি এ পৃথিবীতে বসবাস করার যোগ্যতা রাখি না। দুনিয়ার সবগুলো মানুষকে অনেক জ্বালাইছি, আমি চাই না আল্লাহ আমাকে এ সুযোগ আবার দেন।’ ‘আমি অনেকগুলা ঘুমের ট্যাবলেট খাইছি, আমি কোথায় আছি কাউকে বলি নাই। তাও কেউ আমার খোঁজ কোনোভাবে জানলেও আমাকে হসপিটালে না নেওয়ার অনুরোধ করছি। আমার মতো দুই-একটা পাগল পৃথিবীতে না থাকলে পৃথিবীর কারো কোনো ক্ষতি হবে না।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন