১৫ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ১৮ বছর দেখিয়ে ৪০ বছরের যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। তাদের বয়সের ব্যবধান ২৫ বছর। আর এটা মেনে পারেনি স্কুলছাত্রীটি।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গায় ৪০ বছরের যুবকের সঙ্গে এক স্কুলছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কিশোরী ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামে। স্কুলছাত্রীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামের আবু সায়েমের মেয়ে তামান্না খাতুন আলমডা উপজেলার খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী।
মা-বাবার বিচ্ছেদ হওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকে সে নানাবাড়িতে থাকত। ২০ দিন আগে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নানা ঠান্ডু জোয়ার্দ্দার তাকে বিয়ে দেন।
১৫ বছরের পরিবর্তে ১৮ বছর বয়স দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী কায়েতপাড়া গ্রামের জামাত আলীর ৪০ বছর বয়সী যুবক লাভলু হোসেনের সঙ্গে তামান্নাকে বিয়ে দেওয়া হয়।
বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে যেতে অস্বীকৃতি জানায় তামান্না। নানা ঠান্ডু জোয়ার্দ্দার জোরপূর্বক তাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠাতে চাইলে বৃহস্পতিবার বিকালে সে ঘুমের একাধিক ট্যাবলেট সেবন করে। সন্ধ্যায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তামান্নার বাবা আবু সায়েম অভিযোগ করেন, আমাকে না জানিয়ে ছেলেপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তামান্নার নানা এমন কাণ্ড করেছেন। এমনকি বিয়ের কাবিননামায় বাবার নামের জায়গায় আমার নাম না লিখে তামান্নার মামার নাম লেখা হয়েছে।
‘আমি তামান্নার নানা, কাজিসহ এ কাজে যারা জড়িত তাদের সবার বিচার চাই।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সায়েদুজ্জামান জানান, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জেনেছি তামান্না ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করেছে। তার পাকস্থলি ওয়াশ করা হয়েছে। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন