ফরিদপুরের সালথায় বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ফেলা মাতুব্বর (৩১) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পরে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দুই লাখ টাকায় আপস করে গর্ভের সন্তান নষ্টের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় কতিপয় মাতুব্বর ও সমাজপতিদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত সোমবার ‘দু’লাখ টাকায় রফা হলো ধর্ষণের বিচার শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জেলাজুড়ে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষক ফেলা মাতুব্বরকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নামে এ মামলা দায়ের করেছেন অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী। এ ঘটনায় মনোয়ার হোসেন নান্নু নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সালথা থানার ওসি মো. আশিকুজ্জামান জানান, অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণীর বাবা-মা মারা যাওয়ার পর গত ৫-৬ বছর ধরে তিনি উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের নারানদিয়া গ্রামে তার বোনের বাড়িতে থাকতেন। সেখানে প্রতিবেশী ফেলা মাতুব্বরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ে প্রলোভনে তার সাথে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক করে। এতে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত¡া হলে ধর্ষক ফেলা কয়েক মাস আগে বিদেশে চলে যায়। বর্তমানে ওই তরুণী ৭/৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে। তিনি আরো জানান, ঘটনাটি স্থানীয় মাতুব্বররা টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করে দেয়। অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী জানান, আমি আমার সন্তানের স্বীকৃতি চাই। আর যারা আমার এই ঘটনাটি জোর করে মীমাংসা করেছিল, তাদেরও বিচার চাই। জানা যায়, সালথায় বিয়ের প্রলোভনে ২০ বছরের এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ফেলা মাতুব্বর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই তরুণী এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনাটি মাত্র ২ লাখ টাকায় মীমাংসা করে তরুণীর গর্ভে থাকা সন্তানকে নষ্ট করে ফেলানোর সিদ্ধান্ত দেয় স্থানীয় কতিপয় মাতুব্বর ও সমাজপতিরা। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন