আর কয়েক দিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বেড়েছে ঢাকাফেরত যাত্রীদের চাপ। দৌলতদিয়া প্রান্তে রয়েছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। গতকাল বৃহস্পতিবার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে ঢাকাফেরত যাত্রীদের চাপের চিত্র দেখা যায়, সেখানে যাত্রীদের ফেরিতে পার হওয়ার পাশাপাশি মোটরসাইকেলেও অনেক যাত্রী তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাওয়ার দৃশ্যও চোখে পড়ে।
জানা গেছে, লকডাউনের শুরুতে সীমিতভাবে ফেরি চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়। তখন বলা হয়েছিল সীমতি আকারে শুধু জরুরিভাবে অ্যাম্বুলেন্স ও রাষ্ট্রীয় কাজের জন্য ছোট ফেরি চলাচল করবে। এছাড়া রাতে পণ্যবাহী যানবাহন ফেরিতে পারাপার হবে। তবে, গত কয়কেদনি ধরে দেখা যাচ্ছে পুরোদমে ফেরি চলাচল করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট রড় সব ধরনের ফেরি চলাচল করছে। এই নৌরুটে পারাপারে একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ফেরি। যানবাহনের সঙ্গে সাধারণ যাত্রীরাও ফেরিতে করে নদী পাড়ি দিচ্ছেন।
দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে পাটুরিয়া থেকে আসা হাসনা হেনা নামক একটি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাটে ভিড়ে। সে সময় গাদাগাদি করে যাত্রীদের নামতে দেখা যায়। সাধারণ পণ্যবাহী ও অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেল আরোহী ও সাধারণ যাত্রীরা ফেরি থেকে নামছেন। তারা কোনো রকম সামাজকি দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ঢাকায় একটি ইন্টারনেট প্রতষ্ঠিানে কাজ করেন চুড়াডাঙ্গার জসীম মোল্লা। তিনি জানান, গাড়ি ভাড়া একটু বেশি কি করার আছে। বাড়িতে মা অসুস্থ থাকায় জরুরিভাবে পরিবারসহ বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে পাটুরয়িাঘাট পর্যন্ত এসেছি। ঘাটে থাকা হাসনা হেনা ছোট ফেরিতে উঠেন। তার সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী দুই ছেলে ও মেয়ে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, সরকার লকডাউনের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী বহনের কথা বলে ভাড়া বাড়িয়েছে ৬০ শতাংশ। অথচ, এই সুযোগে ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ আদায় করা হচ্ছ। স্বাস্থ্যবিধি মোটেও মানা হচ্ছে না। বরং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়ছে।
বিআইডবিøউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরি চলছে। পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীরা ছুটছেন। বৃহস্পতিবার হওয়ায় অনকেই বাড়ি যাচ্ছনে। এতে করে ফেরিতে যাত্রী চাপ বাড়ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন