ঝুঁকি নিয়ে বাড়ী যাচ্ছে মানুষ। করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা থাকলেও কোথাও মানা হচ্ছে। দলে দলে জট বেড়ে যাচ্ছে মানুষ। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরিতে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। নদীতে তীব্র স্রোত ও পশুবাহী ট্রাকের চাপ থাকায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ও সড়কে ছয় কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটের ৫ নম্বর ফেরিঘাটে যাত্রীর ভিড়। এছাড়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৬ কি.মি এলাকা পর্যন্ত যানবাহনের সারি পারাপারের অপেক্ষায় আটকে আছে।
দীর্ঘ সময় নদী পারের অপেক্ষায় থেকে যানবাহন চালক ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে পশুবাহী ট্রাকগুলোতে থাকা বেপারী ও খামারিরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। পশুগুলোও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মাগুরা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী সফিকুল ইসলাম জানান, ভার্সিটিতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিকাল ৩টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতে হবে, ভেঙে ভেঙে মাগুরা থেকে আসতেই দৌলতদিয়ায় ১২টা বেজে গেছে। সময়মতো ঢাকা পৌঁছাতে পারব কিনা সেটিই চিন্তার বিষয়।
কুষ্টিয়া থেকে আসা খামারি জব্বার মোল্লা জানান, সকাল ৯টার সময় ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় পশুবাহী ট্রাক নিয়ে আটকে আছি। সকাল ১০টা বাজলেও এখনও ফেরির নাগাল পাইনি।
বিআইডব্লিউটিসির ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্রোত রয়েছে। এছাড়া যানবাহনসহ পশুবাহী ট্রাকের অনেকটা চাপ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকে আছে। বর্তমানে এ নৌ-রুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন