শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কর্মহীন লাখ লাখ মানুষ

শুকিয়ে গেছে কাপ্তাই হ্রদ

কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২১, ১২:০৩ এএম

এশিয়ার পরিকল্পিত বৃহৎ হ্রদ নামে পরিচিত কাপ্তাই হ্রদ। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় এর অবস্থান। গভীরতা কমে যাওয়ায় পানি শুকিয়ে গেছে। এতে হ্রদ নির্ভর কয়েক লাখ লোক কর্মহীন হয়ে পড়ছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েকটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ। দেশের মৎস্য ভান্ডার, বিদ্যুৎ ও পর্যটনখাতে বছরে কোটি কোটি টাকা সরকার রাজস্ব আয় করে থাকে।
পার্বত্যাঞ্চলের সকল ধরনের কাঁচামাল, ফল, ফসল, সবজি এ হ্রদ দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার সরবরাহ করা হয়। জানুয়ারি হতে মে পর্যন্ত হ্রদের পানির স্তর দিন দিন কমতে থাকায় সৌন্দর্য্য হারিয়ে ফেলে। বর্ষা মৌসুমে, পাহাড়ের ময়লা, আবর্জনা ,হ্রদের দু’পাশে বসবাস করা লোকদের বিভিন্ন বর্জ্য ফেলার কারণে গভীরতা কমে গেছে। কাপ্তাই বাঁশ ব্যবসায়ী আবুল কাশেম জানান, এ মৌসুমে হ্রদের পানির গভীরতা কমে যাওয়ার ফলে আমরা বাঁশ আনতে পারিনা। বর্ষা না হওয়া পযন্ত প্রায় তিন থেকে চার মাস পানির জন্য অপেক্ষা করতে হয়ে। এ চার মাস যাবৎ বাঁশের সাথে জড়িত লোকবলের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অপেক্ষা করি কখন মুষলধরে বৃষ্টি হয়ে হ্রদে পানি পরিপূর্ণ হবে। গাছ ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লোকমান আহমেদ জানান, পানির ওপর নির্ভর করে আমাদের ব্যবসা, পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের ব্যবসার ধস নেমেছে। ইঞ্জিন চালিত বোঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিছ বলেন, বর্তমানে পানির স্তর শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ইঞ্জিন চালিত বোঁ চালানো সম্ভব হয়না। পানি বা বর্ষা মৌসুম না হলে এ কাজে জড়িত লোকদের বেকার হয়ে মানবতার জীবনযাপন করতে হয়। হ্রদের ওপর নির্ভর সাম্পান মাঝি রুবেল বলেন, পানি কমে যাওয়ার ফলে আমাদের মধ্যে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়া এ হ্রদ দিয়ে রাঙ্গামাটি জেলার কয়েটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে সরকারের পক্ষ হতে কাপ্তাই হ্রদের ডেজিংয়ের ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন