ফলোঅনে পড়ে তৃতীয় দিনে ৫৮ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। তাতে হারের জন্য পাকিস্তানিরা শুধু সময়েরই অপেক্ষা করছিলেন। যেকোন বলে উইকেট পতণ হলেই ম্যাচের ভাগ্য গড়াবে পাকিস্তানের দিকে। কিন্তু তা হতে দিলেন না লুক জংগে ও ব্লেসিং মুজারাবানি। ব্যক্তিগত ৩১ রানে অপরাজিত থেকে দিনশেষ করেন জংগে। অন্যদিকে শেষ পর্যন্ত ১২টি বল মোকাবেলা করে নিজেকে উইকেটে বাঁচিয়ে রেখেছেন ব্লেসিং। এই দুই ব্যাটসম্যান পাকিস্তানকে চতুর্থ দিনে মাঠে নামতে বাধ্য করলেন। তবে এ প্রতিরোধ দিয়ে যে হার এড়ানো সম্ভব নয়, তা তারাও জানেন। কিন্তু তিনদিনে হারের লজ্জা থেকেও দলকে বাঁচালেন। তাও কম কি?
দ্বিতীয় দিনশেষেই জিম্বাবুয়ের ভূমিধ্বসের ইঙ্গিত মিলছিল। হলোও তাই। ৪ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান নিয়ে শুরু করে বেশিদূর এগুতে পারল না সফরকারিরা। প্রথম ইনিংসে আফ্রিকান দেশটির মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছেন হাসান আলি। মাত্র ২৭ রান খরচায় এই ডানহাতি পেসার তুলে নেন ৫টি উইকেট। তাতে ১৩২ রানে শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস। বাবর আজমের দল লিড পায় ৩৭৮ রানের। ফলোঅনে ফেলার সুযোগটি নিয়ে নেন পাক অধিনায়ক।
গতকাল হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে ফলোঅনে পড়ে শুরুতেই হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৩ রানে ওপেনার তারিসাই মুসাকানডাকে ফিরিয়ে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২য় উইকেট জুটিতে কেভিন কাসুয়া ও রেগিস চাকাভা অবশ্য ভালোই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু নুমান আলি বাধ সাজলেন। কাসুভাকে ২২ রানে ফিরিয়ে দিয়ে দলের অবস্থান আরও শক্ত করেন এই পেসার। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর সঙ্গ দেন চাকাভাকে। টেলর এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাফ সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু শাহীন আফ্রিদি এ অর্জণে বাধা দেন। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে তাকে তুলে নেন তিনি। এরপর চলতে থাকে আসা-যাওয়ার খেলা। সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেলেন চাকাভা।
পাকিস্তানের হয়ে নুমান আলি ৫টি ও শাহীন আফ্রিদি তুলে নেন ৪টি উইকেট। ৯ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলে তৃতীয় দিনশেষ করে স্বাগতিকরা। চতুর্থ দিনে পাকিস্তানকে আবারও ব্যাটিংয়ে নামাতে জিম্বাবুয়েকে করতে হবে আরও ১৫৮ রান। যা এক কথায় অসম্ভব। অন্যদিকে পাকিস্তানকে তুলে নিতে হবে এক উইকেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন