করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে এবার ঈদ উপলক্ষে বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো গণপরিবহন। তারপরও থেমে নেই মানুষের ঈদযাত্রা। ফেরিতে পদ্মা পারাপারের জন্য যাত্রীর ভিড় লেগেই আছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ প্রতিবেদন
মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো যাত্রীদের কোন ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই দিনে-রাতে হাজার হাজার যাত্রী বিধি-নিষেধ আর পুলিশ বিজিবি চেকপোস্ট পার হয়ে ফেরিতে করে নদী পার হচ্ছেন। গতকালও চারটি ফেরি দিয়ে প্রায় দশ হাজার যাত্রী পার হয়েছে। কয়েক হাজার যাত্রী পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে অপেক্ষা করছে। ফেরি ছাড়ার জন্য সকালে যাত্রীরা বিক্ষোভ করে।
সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে দক্ষিণাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষ লাশ ও অ্যাম্বুলেন্স বহনকারী ফেরিতে করে যাবার জন্য সকাল থেকে মাওয়া ঘাটে আসতে থাকে। ঝড় বৃষ্টি মাথায় করে রাতের ফেরিতে যাবার জন্য রাতে ঘাটেই থাকছে। মাওয়া ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জানান, সকাল থেকে চারটি ফেরি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে যায়। কোন ফেরি ঘাটে আসলে তাতে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। প্রতিটি ফেরিতে তিন থেকে চার হাজার যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে যেভাবে পারছে উঠে পড়ছে।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অ্যাম্বুলেন্স বহনকারী কয়েকটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে গেছে। তাতে সাধারণ যাত্রীরাও পার হয়েছে। কোনভাবেই তাদের বাধা দেয়া যাচ্ছে না। যাত্রীরা ফেরিতে ওঠার জন্য এক ঘাট থেকে আরেক ঘাটে সারাদিন ছুটাছুটি করে।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে আসায় প্রতিদিনই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঢাকা ফেরত যাত্রীর চাপ বাড়ছে। সরকার ঘোষিত লকডাউনে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘরমুখো মানুষের ঢল।
গতকাল সকালে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ইউটিলিটি ছোট দুটি ফেরি চন্দ্র মল্লিকা ও হাসনা হেনা প্রতিটি ফেরিতে দুই একটি জরুরি অ্যা¤ু^লেন্স ও চার থেকে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আসে। ফেরিতে গাদাগাদি করে একজনের গা ঘেষে আরেকজন দাঁড়িয়ে ছিল। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই ছিলনা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক ফিরোজ খান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছোট ফেরি চলাচল করছে। তবে জরুরি সেবার অ্যা¤ু^লেন্স এক সঙ্গে ৮ থেকে ১০টা হলে ছোট ফেরি দিয়ে সেগুলো পারাপার করা হবে। এছাড়া রাতে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে। ফেরি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে যাত্রী ও ছোট যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন