শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

গুরুদাসপুরে লিচুর বাম্পার ফলন

২০ বছর পর হাটের নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন

এম এম আলী আক্কাছ, গুরুদাসপুর (নাটোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

লিচুর রাজ্য খ্যাত নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর লিচুর হাটটি অবশেষে সরকারিভাবে গণ্য হলো। গত ২০ বছর ধরে লিচুর হাটটি ব্যক্তি স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলো আড়তদার সমিতির সিন্ডিকেট। প্রতি মৌসুমে হাটে অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার লিচু বেচাকেনা হয়ে থাকে। এবারই প্রথম সরকারিভাবে ৯ লাখ ১২ হাজার টাকায় হাটটি ইজারা দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, আড়তটি ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এমন অজুহাতে এতদিন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন হাটটি ইজারা দিতে পারেনি। বেড়গঙ্গারামপুর লিচু আড়ত মালিক সমিতি কমিশনের নামে ১০০ লিচু বিক্রির ওপর বাগান মালিক ও পাইকারদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের নামে ১৫ থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছিল। এতে কৃষকের লাভের টাকা যেত আড়ত মালিকদের পকেটে।
অবশেষে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজের হস্তক্ষেপে ৯ লাখ ১২ হাজার টাকায় লিচুর হাটটি এই প্রথম ইজারা নেন স্থানীয় মাহবুব হোসেন নামে এক আড়ত মালিক। এতে লিচু বাগান মালিকদের আর কোন কমিশন বা চাঁদা দিতে হবে না। তবে যারা লিচু কিনবেন তাদেরকে প্লাস্টিকের ক্যারেট প্রতি ৫ টাকা, বড় ঝুঁড়ি ২০ টাকা এবং ছোট ঝুঁড়ি প্রতি ১০ টাকা ইজারা দিতে হবে।

ওই তথ্য জানিয়ে উপজেলার হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল বলেন, জেলা প্রশাসকের আদেশবলে প্রতিবছর ওই হাটটি দুই মাসের জন্য ইজারা দেয়া হবে। এবারই প্রথম হাট হওয়ায় টেন্ডার ছাড়া ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারাদার মাহবুবুর রহমান বলেন, লিচুর ভরা মৌসুমে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ ট্রাক বোঝাই লিচু দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এ বছর খরায় লিচু ঝরে পড়ায় সরবরাহ কম হচ্ছে। এই মৌসুমে ২৫ কোটি টাকার বেশি লিচু বিক্রি হবে না। হাটে লিচু বিক্রি করতে এসে ভাল দাম পাচ্ছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ ইনকিলাবকে জানান, এ বছর ৫৭০টি ছোটবড় বাগান মিলে ৪১০ হেক্টর জমিতে লিচু উৎপাদন হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি লিচু চাষিরা ভাল দাম পাবেন। উপজেলার বড়াইগ্রাম ও সিংড়া উপজেলা থেকে চাষিরা এই হাটে প্রচুর পরিমাণ লিচু বিক্রি করে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, বেড়গঙ্গারামপুর বটতলা মোড়ে খাস জায়গাটি উদ্ধার করে সেখানেই করা হয়েছে লিচুর হাট। জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসের জন্য সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর এই লিচুর হাট থেকে সরকার আরো বেশি রাজস্ব পাবে বলে আশা করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন