কলকাতার বাংলাদেশী উপ-হাইকমিশন থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) ও করোনা টেস্টের নেগেটিভ সনদ নিয়ে তৃতীয় দিনে ভারতে আটকে পড়া ৬৯ জন যাত্রী হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভারতের হিলি চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন।
হিলি ইমিগ্রেশনের ওসি সেকেন্দার আলী জানান, সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে বাংলাদেশী যাত্রী দেশে ফিরেছেন। তিনি আরো জানান, ভারত অভ্যন্তরে আরো বাংলাদেশী আটকা আছে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে নেওয়া হচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ আলম বলেন, ভারত থেকে ফেরা বাংলাদেশিকে তাৎক্ষনিক র্যাপিড এমটিআইজেইএন কিটসের মাধ্যমে করোনা টেস্ট করানোর পর উপজেলার এমএম আবাসিক হোটেল, নুরজাহান হোটেল ও ক্যাপিলা হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও ৮ জন পাসপোট যাত্রী কিডনি ও লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকায় দিনাজপুর এম এম রহিম মেডিক্যাল কলেজ ও রংপুর মেডিক্যালে প্রেরন করা হয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: তৌহিদ আল হাসান জানান, হিলি চেকপোষ্ট দিয়ে ৩ দিনে আটকে পড়া ৫৮ জনের করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। এবং সকলেই সুস্থ্য আছেন। এ পর্যন্ত কোন পজেটিভ রুগি পাওয়া যায়নি।
হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ভারতে আটেেক থাকা পাসপোর্ট যাত্রী হিলি ইমিেেগ্রশন দিয়ে দেশে প্রবেশ করায় এবং শহরে ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইনে রাখায় আমরা আতংকের মধ্যে বাস করছি। তিনি বলেন এপর্যন্ত যে সব যাত্রী হিলি দিয়ে দেশে এসেছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ যাত্রীদের তাৎক্ষনিক র্যাপিড এমটিআইজেইএন কিটসের মাধ্যমে করোনা টেস্ট করানো হয়নি। তিনি প্রতিটি পাসপোর্ট যাত্রীকেই তাৎক্ষনিক র্যাপিড এমটিআইজেইএন কিটসের মাধ্যমে করোনা টেস্ট করার দাবি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন