রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। আটক প্রেমিক রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের মকসেদ আলীর ছেলে সামিউল ইসলামের (১৯)। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে কাটাখালিরর মোহনপুর হাজামপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কাটাখালি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কাটাখালি থানা এলাকার মোহনপুর হাজামপাড়া গ্রামের জৈনক ব্যক্তির মেয়ের (১৮) সাথে চারঘাট থানার চকগোচর গ্রামের মকসেদ আলীর ছেলে সামিউল ইসলামের (১৯) কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তারা রাজশাহী শহরে বিভিন্ন স্থানে দেখা-সাক্ষাৎ ও ঘোরাফিরা করতো। শনিবার দুপুরে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে সামিউল ইসলাম তার প্রেমিকার বাড়িতে আসে। কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে সামিউল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় সামিউল হাত দিয়ে মুখ চেপে রাখায় ডাকাডাকির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ধর্ষণের পরে ভুক্তভোগী প্রেমিকা কৌশলে তার হাত থেকে ছুটে বাইরে গিয়ে চিৎকার দিলে অন্যরা ঘটনাস্থলে এসে প্রেমিককে ধরে ফেলে। পরে কাটাখালি থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কাটাখালি থানার ওসি নুর আলম সিদ্দিক বলেন, প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে বিয়ের প্রলোভনে ভুক্তভোগী ওই মেয়েকে ধর্ষণ করে তার প্রেমিক। শনিবারও এমন ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন