শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজে অন্তভর্‚ক্তি ও অনলাইন জন্মসনদ জমা বাধ্যবাধকতা ঘোষণায় অভিভাবকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ও ইউনিয়য়ন পরিষদ কার্যালয়ে। প্রচন্ড তাপদাহ ও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওইসব সংগ্রহ করতে অভিভাবকরা দিগি¦দিক ছুটোছুটি করছেন।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন থেকে প্রচন্ড তাপদাহ পৌরসভা ও ইউনিয়য়ন পরিষদ কার্যালয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ভীড় করছেন জন্ম সনদ বের করতে। ভীড় ও প্রচন্ড তাপদাহের কারণে কয়েকজন অসুস্থ হয়েছেন। বিভিন্ন স্কুল বিভিন্ন তারিখ বেঁধে দেয় ২৫ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত। এই অল্প সময়ের মধ্যে অনেকেই জন্ম সনদ বের করতে পারবেন কি না এ নিয়ে অভিভাবকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
গত ৯ মে শিক্ষা মন্ত্রণাললের এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওঊওগঝ) প্রকল্প পরিচালকের স্বাক্ষরিত জারি করা প্রজ্ঞাপন পাঠানো হয় জেলা পর্যায়ে। ওই প্রজ্ঞাপনে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি ফরম পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীর অনলাইন জন্ম সনদ জরুরী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দেয়ার জন্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার শহরের ইম্পেরিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর অভিভাবক মিন্টু মিয়া জানান, কলেজ থেকে গত মঙ্গলবারের মধ্যে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর অনলাইন জন্ম সনদ জমা দেয়ার জন্য। গত কয়েক দিন থেকে কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ধর্ণা দিচ্ছে কিন্তু কোন ভাবেই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছি না।
অভিভাবক আহমদ হোসেন জানান, তার সন্তান আলী আমজদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়রত। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান ২৬ মে তারিখের মধ্যে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর অনলাইন জন্ম সনদ জমা দেয়ার জন্য। তিনিও কয়েকদিন থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভায় ধর্ণা দিচ্ছেন। কখন নিবন্ধন শেষে জন্ম সনদ পাবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে আলী আমজদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, তার স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১১৬২ জন্য। তিনি প্রথমে ২৬ মে জন্ম সনদ জমা দেয়ার জন্য নোটিশ দেন। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় জন্ম সনদ দেয়ার গতি কমে যাওয়ায় ৫ জুন পর্যন্ত সময় বর্ধিত করেন। প্রয়োজনে সময় আরও বর্ধিত করা হবে। তিনি আরও জানান শিক্ষার্খীর জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক দিতে হবে। তবে অভিভাবকের জন্ম সনদ না থাকলে এনআইডি জমা দেয়ার কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেননি। এক পর্যায়ে মুঠোফোন বন্ধ করে দেন। জন্মনিবন্ধন এন্ট্রি করার বিষয়ে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান জানান, প্রতিদিন ৪ থেকে ৫শ’ অভিভাবক আসছেন নিবন্ধন করতে। কিছু অভিভাবককে বসার স্থান করে দিতে পেরেছি। অনেকেই প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে বাহিরে দাঁড়িয়ে বিরক্তি বোধ করছেন। যে ভাবে অভিভাবকদের ভীড় এতে করে কমপক্ষে আরও ২ মাস সময় লাগবে নিবন্ধন কাজ শেষ করতে। তিনি আরও বলেন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এন্ট্রি করলে ১শ থেকে সর্বোচ্চ দেড়শো এন্ট্রি করা যাবে। আবার রয়েছে সার্ভার সমস্যা। অভিভাবকরা জন্মসনদ জমা দেয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করে হয়রানির শিকার থেকে রক্ষায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন