পূর্বশত্রুতার জেরে ইয়াসিন আরাফাত সায়েম নামে (১৮) বছরের এক কিশোরকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিশোর গ্যাং চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ঢাকার কদমতলী থানার শনিআখঁড়া এলাকায় বর্ণমালা স্কুলের গলিতে জুনিয়র-সিনিয়র দণ্ডে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। করেন। আটকৃতরা হলো- তানজিল শেখ,মোঃ শাহরিয়ার ইসলাম শুভ, মোঃ শাহরিয়ার নাফিজ জয়, মোঃ হাবিবুর রহমান ,মোঃ বাবুল হোসেন টুটুল ও মোঃ মাহমুদ। আটকৃতদের আজ শুক্রবার সকালে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছিল। এসময় কিশোর গ্যাংয়েন ওই ৬ সদস্য উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা করছিল। তাদের শরীরে রক্তমাখা ছিল। এতে পুলিশের সন্দেহ হলে ওই ৬ কিশোরকে আটক করে তারা। প্রথমিক জিঙ্গাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে জানান, ইয়াসিন আরাফাত সায়েম নামে এক কিশোরের সাথে তাদের মারামারি হয়। পরে সায়েম মারা যায় শুনে তারা মাওয়া হয়ে শরিয়তপুরের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ব্যাপারে কদমতলী থানায় খবর নিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। নিহত ইয়াসিন আরাফাত সায়েম কদমতলী থানার আল ইসলামিয়া মসজিদ এর পাশে বাপ্পীদের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ও ১২নং কুতুবপুর গ্রামের, বেগমগঞ্জ থানার নোয়াখালী জেলার আব্দুল আলীর ছেলে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস আই স্বপন কুমার দাস বলেন, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টহলের সময় ৬ কিশোরকে একসাথে রক্তমাখা অবস্থা দেখে সন্ধেহ হলে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে জিঙ্গাসা করিলে তারা হত্যার কথা শিকার করেন। তাই তাদেরকে আটককরে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কদমতলী থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, কদমতলী থানা এলাকায় ইয়াসিন আরাফাত সায়েম নামে এক কিশোর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৬ কিশোরগ্যাং সদস্যকে আটক করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন