শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আরেক দফা বাড়ছে লকডাউন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে চলমান লকঢাউনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়েছে পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার। একই সাথে নতুন করে সীমাবর্তী জেলার মানুষ পার্শ্ববর্তী জেলাসহ ঢাকায় যাতে আসতে না পারে এ নির্দেশনা থাকছে। আজ রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এমন বিধিনিষেধ যুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পাবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক যুগ্মসচিব ইনকিলাবকে বলেন, চলমান লকঢাউন বাড়তে পাবে এক থেকে দুই সপ্তাহ। তবে নতুন করে সীমাবর্তী জেলার মানুষ পার্শ্ববর্তী জেলাসহ ঢাকায় যাতে আসতে না পারে এ নির্দেশনা থাকছে।
গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহতা রোধে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা উচিত। দেশে ইতোমধ্যে ভারতীয় ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টের রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাছাড়া নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বøাক ফাঙ্গাস।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার সংখ্যা ৩৫টি। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, সাতক্ষীরা, পঞ্চগড়সহ বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ তাদের জন্য নিকটবর্তী হওয়ায় ভারতে বেশি আসা-যাওয়া করে থাকে। ফলে এ সকল মানুষদের ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহতা রোধে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে। যেন সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ পার্শ্ববর্তী জেলাসহ ঢাকা শহর ও অন্যান্য শহরে না যেতে পারে এবং ওই সকল জেলায় যাতে অন্য জেলার মানুষ প্রবেশ করতে না পারে।
গত ২৩ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে করোনা ভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলি-চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বিধিনিষিধের সময়সমীমা গতকাল মধ্যরাত থেকে আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হলো। পূর্বের শর্তাবলি কার্যকর থাকলেও আন্তঃজেলা গণপরিবহন এবং খাবার হোটেলে বসে খাবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। হোটেল- রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক গ্রাহককে বসিয়ে খাবার খাওয়াতে পারবে। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সব সিনিয়র সচিব/সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন’ হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূর পাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদেও লঞ্চ- ট্রেন এবং দূর পাল্লার বাস বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর আগে গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দফা বন্ধ রাখা হয়। আর ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন অফিস বন্ধ ছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Moin Khan ৩০ মে, ২০২১, ২:০৫ এএম says : 0
এমনটাই হওয়া উচিত।করোনা তার ভয়াল থাবা ক্রমেই বিস্তার করছে, যা কারো নিয়ন্ত্রণে নাই। ভারতে মারাত্মক পরিস্থিতি। তাই সবার বাঁচার স্বার্থেই আমাদের একটু ত্যাগ স্বীকার করা দরকার।
Total Reply(0)
Morshed Anam ৩০ মে, ২০২১, ২:০৬ এএম says : 0
এমন করে বাড়াতে বাড়াতে ডিসেম্বর পর্যন্ত কাটিয়ে দিয়েন। জীবিকার অভাবে দেশের সব মানুষ মারা যাক সমস্যা নাই, কিন্তু আমরা ২০২১ সাল পুরা লকডাউন চাই।
Total Reply(1)
parvez ৩০ মে, ২০২১, ৮:১৩ এএম says : 0
na re vai, 2024 I mean up to next election.
Md. Rabiul Islam ৩০ মে, ২০২১, ২:০৬ এএম says : 0
আমি এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই ধরণের লক ডাউনের বৈজ্ঞানিক কোনও যুক্তি নাই।
Total Reply(0)
চন্দ্র বিন্দু ৩০ মে, ২০২১, ২:০৭ এএম says : 0
তাহলে সকল অফিস,গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়া হোক এই লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত।। এসব প্রতিষ্টান বন্ধ না করলে আর লকডাউন দিয়া কিতা হইবু
Total Reply(0)
Al Mamun Sagor ৩০ মে, ২০২১, ২:০৭ এএম says : 0
লকডাউনের মেয়াদ কয় দিন পরপর না বাড়াইয়া একবারে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ঘোষণা দিন,আর এটা ও বলে দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর খোলা হবেনা,আমরা ও বিয়া করে ঘর সংসার শুরু করি।
Total Reply(0)
Suborna Dhali ৩০ মে, ২০২১, ২:০৮ এএম says : 0
আবার লকডাউন ঘোষণা করার কি দরকার ছিলো ? দেশের মানুষ তো করোনার ভয়ে ঘর থেকে বের হতে সাহসই পাচ্ছেনা!!!রাস্তা ঘাট শুনশান।বাজারে একটা মাছিও নেই,সেখানে কোন ক্রেতা আসার তো সাহসই করেনা।মার্কেট গুলো একদম ফাঁকা পরে আছে।ব্যাংক এর মধ্যে তো কোন মানুষ ই যাচ্ছে না করোনা ভয়ে,তো কি দরকার ছিলো আজাইরা হুদাই লকডাউন দিয়ে লকডাউন কে অপমান করার!!!
Total Reply(0)
HM Mijanur Rahman ৩০ মে, ২০২১, ২:০৯ এএম says : 0
আমি মনে করি এটা একটা ফালতু ডিসিশন! এই ঢিলেঢালা লকডাউনে দেশ করনা থেকেও বাঁচতে পারবে না আবার অর্থনৈতিক ভাবে লস খাবে! মানে দু'দিকেই লস!!
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৩০ মে, ২০২১, ২:৩১ এএম says : 0
সরকারের উচিৎ ছিল ভারতীয় ভয়ংকর পরিস্থিতি হতে শিক্ষা নেওয়া নেয়নি। ইনকিলাবে শিরোনাম হয়েছে রাজশাহী বিভাগ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে। পাশ্ববর্তী ভারতের চিতার করুন মর্মস্পর্শি আগুনের লেলিহান শিখা লাশের মিছিল থেকে শিক্ষা হলো না। স্বাস্থ্য বিধিব্যবস্থা সরকারের আদেশ নিষেধাজ্ঞা মানছেনা। মানুষের কাছে ভাইরাসের আক্রান্ত মৃত্যুর চায়তেও জীবন বাচানোর জন্যে কঠিন যুদ্ধ স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। শিরোনাম আরেক দফা বাড়ছে লকডাউন। রাজশাহী বিভাগের কঠিন অবস্থা হচ্ছে। অন্যান্য বিভাগের অবস্থা ভয়াবহ হতে বাকী কি? বাংলাদেশে কঠিন কঠোরভাবে পরিপূর্ণ বাস্তব সম্মত লকডাউন জরুরী ছিল। আমরাই সিমান্ত আকাশ পথ পরিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারিনি।বাংলাদেশ কে বাচাতে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নিন।সবকিছুই খোলা লিখা হচ্ছে লকডাউন এভাবেই কেন সমগ্র জাতির সাথে তামাশা করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত কেন জাতির স্বার্থেই মানুষের জীবনের স্বার্থেই হচ্ছে না??সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাক্তি ও প্রতিষ্টান দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিন। সরকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশালাকার কর্মসূচি সিদ্ধান্ত মানবিকতার চরম উদাহরণস্বরূপ যুগান্তকারী অনেক প্রশংসনীয় কাজের পর ও সমালোচকদের কঠিন সমালোচনাই পড়ছে। বিশালসংখ্যক সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের জীবন ভাইরাসের আঘাতের চায়তে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। শিক্ষা জীবন বন্ধ হয়ে। ইতিমধ্যে অনেক ছাত্র ছাত্রীদের জীবনের চরম অন্ধকার শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব মানুষের জীবিকার ব‍্যবস্থা করা। যাদের দিনের আয়ের উপর সংসার এদের জীবন ভয়াবহ কষ্টের। মানবিক সময় সরকারের বিশালাকার প্রনোদনা নগদ অর্থ বিভিন্ন সহযোগিতা সত্বেও কঠিন সমালোচনার হচ্ছে কেন?? ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তের অভাবের কারণে। রাজনীতিবিদরা মৃত্যুর আজরাইল ফেরাশতা না আসা পযর্ন্ত রাজনীতি করে যাবেন এখন রাজনীতির সময় নয়। সরকার বিরোধী কেও সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারেন নাই।বিশালসংখ্যক অর্থের মালিক বড়বড় রাজনীতিবীদ বড়বড় ডাক্তার আইন শৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর মিছিল এখনো অব‍্যাহত আছে। শিক্ষা হচ্ছে কজনের বলুন। যদি পৃথিবীতে শান্তি গজব আজাব এভাবে হতো মিথ্যা কথা বলার সাথে সাথেই জবান বন্ধ হয়ে যেত। ঘুষ খাওয়া পর মানুষের পেট পেটে যেত। এভাবেই কিছু শাস্তি যদি প্রাকৃতির ভাবেই হতো জমিনজুড়ে শান্তি আসতো। সবকিছুর একদিন জবাব দিতে হবে বিশ্ব জাহানের মালিকের দরবারে প্রথমেই বিচারের মুখোমুখি হবেন। পৃথিবীর কৃত্রিম রাজা বাদশাহরা হিসাব দিতে হবে। প্রতিটি অঙ্গ সাক্ষী দিবেন কৃতকর্মের। ক্ষুদ্র জীবন ক্ষনস্থায়ী জীবনের জন্যে আখেরাতের অসংখ্য বিশাল নেয়ামত কে ধ্বংস করে দিচ্ছি। একমাত্র নৈতিক শিক্ষা। ধর্মীয় শিক্ষা অভাবে। আরেক দফা লকডাউন গরিব সাধারণ মানুষের জীবিকার জন্যে সরকারের উচিৎ সাহায্য করা।
Total Reply(0)
Usman ৩০ মে, ২০২১, ৯:২৮ এএম says : 0
লকডাউনেই সীমাবদ্ধ না থেকে একে কঠোরভাবে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।বর্তমানে তো লকডাউন আছে,আবার লাগামহীনভাবে যে যার মতো চলে যাচ্ছে।এগুলো বন্ধ করতে হবে কঠোর হস্তে। প্রয়োজনে জনসমাগমস্থল প্রশাসন তদন্ত করুক,কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে।সর্বোপরি সরকার ও প্রশাসন কঠোর না হলে লকডাউনের মাধ্যমে কিছুই হবেনা।
Total Reply(0)
Aminul Haque ৩০ মে, ২০২১, ১১:০৭ এএম says : 0
সরকারের উচিত লকডাউন না বাড়িয়ে জনগন কে সচেতন করা। কারণ লকডাউন এর কারণে সমজে তীব্র অভাব দেখা দিচ্ছে। আর শিক্ষিত বেকার বাড়তাছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন