শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

ইসরাইলিদের মন্দ পরিণতি

প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

ইহুদি ও খৃষ্টান জাতি উভয়ে বনু ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত। ইসরাইল হ’ল হযরত ইয়াক‚ব (আ.)-এর দ্বিতীয় নাম, যার অর্থ আল্লাহ্র দাস। তাঁর অধস্তন পুরুষ হযরত মূসা (আ.)-এর অনুসারীদেরকে ‘ইহুদি’ বলা হয়, যিনি ছিলেন বনু ইসরাইলের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ রাসূল। অতঃপর সর্বশেষ রাসূল ঈসা (আ.)-এর অনুসারীদেরকে ‘নাছারা’ বা খৃষ্টান বলা হয়। সূরা ফাতেহায় বর্ণিত ‘মাগযূব’ (অভিশপ্ত) এবং ‘যা-ল্লীন’ (পথভ্রষ্টগণ) কারা, সে সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তারা হ’ল ইয়াহূদ ও নাছারাগণ’ (তিরমিযী হা/২৯৫৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৮২০২)। ইবনু আবী হাতেম বলেন যে, এ বিষয়ে মুফাসসিরগণের মধ্যে কোন মতভেদ আছে বলে আমি জানি না’ (কুরতুবী, ইবনু কাছীর)। ইহুদিরা তাদের নবীদেরকে হত্যা করে এবং শেষনবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে অভিশপ্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে নাছারারা তাদের নবী ঈসা (আ.)-কে অতিরঞ্জিত করে আল্লাহ্র আসনে বসিয়ে এবং শেষনবী (সা.)-কে চিনতে পেরেও না চেনার ভান করে ও তাঁর বিরুদ্ধে শত্রুতা করে পথভ্রষ্ট হয়েছে।

অতঃপর সর্বযুগে মুক্তিপ্রাপ্ত দল হ’ল তারাই, যারা ছিরাতে মুস্তাক্বীমের অনুসারী হয়েছে। আখেরী যামানায় তারা হ’ল কুরআন ও সুন্নাহ্র অনুসারী মুসলিমগণ (মুওয়াত্ত্বা হা/৩৩৩৮; মিশকাত হা/১৮৬)।

১. মূসা (আ.)-এর অবাধ্যতা
মূসা (আ.)-এর দো‘য়ায় ও মো‘জেযায় মিসরের অত্যাচারী সম্রাট ফেরাঊনের সাগরডুবির মাধ্যমে তার হাতে নির্যাতিত বনু ইসরাইলিদেরকে নিরাপদে উদ্ধার করার পর শাম যাওয়ার পথে একস্থানে জাঁকজমকপূর্ণ মূর্তিপূজা দেখে তারা আবদার করে বলে, ‘হে মূসা! আমাদের জন্যেও এরূপ উপাস্য বানিয়ে দাও, যেমন এদের অনেক উপাস্য (মূর্তি) রয়েছে! জবাবে মূসা বলেন, ‘তোমরা তো একটা মূর্খ জাতি’ (আ‘রাফ ৭/১৩৮)। তিনি বলেন, ‘আমি কি তোমাদের জন্য আল্লাহকে ছেড়ে অন্য উপাস্য সন্ধান করব? অথচ তিনি তোমাদের বিশ্ববাসীর উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন’ (আ‘রাফ ৭/১৪০)।

ইসরাইলিদের প্রতি আল্লাহ্র শাস্তি
মূসা (আ.)-এর অবাধ্যতা করার ফল স্বরূপ আল্লাহ তাদেরকে মিসর ও শামের মধ্যবর্তী একটি উন্মুক্ত প্রান্তরে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ বন্দী রাখেন, যাকে ‘তীহ্’ প্রান্তর বলা হয়। এই উন্মুক্ত কারাগারে না ছিল কোন প্রাচীর, না ছিল কোন কারারক্ষী। কোনভাবেই তারা অদৃশ্য কারা প্রাচীর ভেদ করে যেতে পারত না। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘এই স্থান (বায়তুল মুক্বাদ্দাস) তাদের জন্য চল্লিশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হ’ল। তারা যমীনে উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরবে। অতএব তুমি এ অবাধ্য স¤প্রদায়ের জন্য আক্ষেপ করো না’ (মায়েদাহ ৫/২৬)।

হিত্ত্বাহ্র স্থলে হিনত্বাহ
বনু ইসরাইলগণ যখন জান্নাতী খাদ্য মান্না-সালওয়া বাদ দিয়ে দুনিয়াবী খাদ্য সবজি, কাকুড়, গম, ডাল, পেঁয়াজ খাওয়ার জন্য জিদ ধরে বসলো, তখন আল্লাহ তাদের পার্শ্ববর্তী জনপদে যেতে বললেন, যেখানে তাদের চাহিদামত খাদ্য-শস্যাদি তারা সর্বদা প্রাপ্ত হবে। উক্ত জনপদে প্রবেশের সময় আল্লাহ্র শুকরিয়া আদায় করার জন্য তিনি কতকগুলি আদব ও শিষ্টাচার মান্য করার নির্দেশ দিলেন। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন আমরা বললাম, তোমরা প্রবেশ কর এ নগরীতে এবং এতে যেখানে খুশী খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ কর। আর নগরীর ফটক দিয়ে প্রবেশ করার সময় তোমরা সিজদা কর ও বলতে থাক ‘হিত্ত্বাহ’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ!) ‘তুমি আমাদের ক্ষমা কর’- তাহ’লে আমরা তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেব এবং সৎকর্মশীলদের আমরা সত্বর অতিরিক্তভাবে আরও দান করব’ (বাক্বারাহ ২/৫৮)। কিন্তু বেআদবীর চরম সীমায় পৌঁছে তারা হিত্ত্বাহ-এর স্থলে ‘হিন্ত্বাহ’ অর্থাৎ ‘গম’ বলতে বলতে এবং সিজদা বা মাথা নীচু করার পরিবর্তে পিছন দিকে পিঠ ফিরে প্রবেশ করল (বুখারী হা/৩৪০৩)। এর মাধ্যমে তারা নিজেদেরকে আল্লাহ পূজারীর বদলে পেটপূজারী বলে প্রমাণ করল। বায়তুল মুক্বাদ্দাসের উক্ত প্রধান ফটককে আজও ‘বাব হিত্ত্বাহ’ বলা হয়ে থাকে (কুরতুবী)। পরে তাদের উপর নানাবিধ গজব নাযিল হয় (বাক্বারাহ ২/৫৯)।

‘হিনত্বাহ’ ও ‘হিত্ত্বাহ’ বলার মাধ্যমে আল্লাহ বস্তুবাদী ও আদর্শবাদী দু’প্রকার মানুষের পার্থক্য তুলে ধরেছেন। বস্তুবাদীরা বস্তুর লোভে মানবতাকে ও মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে। পক্ষান্তরে ধার্মিক ও আদর্শবাদীরা তাদের ধর্ম ও আদর্শ রক্ষার জন্য বস্তুকে উৎসর্গ করে। ফলে মানবতা রক্ষা পায় ও মানব সভ্যতা স্থায়ী হয়। বাস্তবিক পক্ষে সে যুগ থেকে এ যুগ পর্যন্ত বিভিন্ন নামে বস্তুবাদীরা মানবতার ধ্বংসকারী হিসাবে নিজেদেরকে চিহ্নিত করেছে।

ইসরাইলিদের ধ্বংস বার্তা
আল্লাহ বলেন, ‘আর আমরা কিতাবে ফায়সালা করে রেখেছিলাম যে, তোমরা জনপদে (শামে) দু’বার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অত্যন্ত বড় ধরনের বাড়াবাড়িতে লিপ্ত হবে’ (বনু ইসরাইল ১৭/৪)। এরা ছিল বায়তুল মুক্বাদ্দাস শাসনকারী দুর্ধর্ষ আমালেক্বা সম্প্রদায়, যাদের নেতা ছিল সম্রাট জালূত। তালূতের সেনাবাহিনীর হাতে বরং এককভাবে দাঊদের হাতে জালূত নিহত হন। দ্বিতীয়টি ছিল ইরাকের বাবেল সম্রাট বুখতানাছর, যিনি বায়তুল মুক্বাদ্দাসে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান। সত্তুর হাজার ইহুদিকে হত্যা করেন ও বাকীদের বন্দী করে নিজ দেশে নিয়ে যান (কুরতুবী; ইবনু কাছীর)।

২. দাঊদ (আ.)-এর অবাধ্যতা
বনু ইসরাইলের দ্বিতীয় রাসূল দাঊদ (আ.) নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেন তারা শনিবারে ইবাদতের দিন সাগরে মাছ না ধরে। কিন্তু তারা বিভিন্ন কৌশলে মাছ ধরতে থাকে। ফলে আল্লাহ তাদের বানর ও শুকরে পরিণত করে দেন (বাক্বারাহ ২/৬৫-৬৬)। এজন্য এদের ‘আছহাবুল ক্বেরাদাহ ওয়াল খানাযীর’ অর্থাৎ বানর ও শুকরের বংশধর বলা হয়।

৩. ঈসা (আ.)-এর অবাধ্যতা
মূসা ও দাঊদের ন্যায় বনু ইসরাইলগণ তাদের বংশের শেষনবী ঈসা (আ.)-এর বিরুদ্ধে নানাবিধ চক্রান্ত করে। এমনকি তারা তাঁর মায়ের নামে অপবাদ রটাতে শুরু করে। এরপরেও ঈসা (আ.)-এর সমর্থক সংখ্যা যতই বাড়তে থাকে, ইহুদিদের চক্রান্ত ততই বৃদ্ধি পেতে থাকে। অবশেষে তারা তৎকালীন রোম সম্রাটের কান ভারী করে এবং তার নির্দেশে ঈসা (আ.)-কে গ্রেফতারের জন্য সরকারী বাহিনী ও ইহুদি চক্রান্তকারীরা তাঁর বাড়ী ঘেরাও করে। তারা জনৈক নরাধমকে ঈসা (আ.)-কে হত্যা করার জন্য পাঠায়। কিন্তু ইতিপূর্বে আল্লাহ ঈসা (আ.)-কে উঠিয়ে নেওয়ায় সে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে যায়। কিন্তু এর মধ্যে আল্লাহ্র হুকুমে তার চেহারা ঈসা (আ.)-এর সদৃশ হয়ে যায়। ফলে ইহুদিরা তাকেই ঈসা ভেবে শূলে বিদ্ধ করে হত্যা করে। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তারা বলে, আমরা মারিয়াম-পুত্র ঈসা মসীহ আল্লাহ্র রাসূলকে হত্যা করেছি। অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছিল, না শূলে চড়িয়েছিল। বরং তাদের জন্য সদৃশ বানানো হয়েছিল। আর যারা এতে মতভেদ করেছিল, তারা ঈসার বিষয়ে সন্দেহে পতিত ছিল। এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞান নেই কেবল ধারণা ব্যতীত। আর নিশ্চিতভাবেই তারা তাকে হত্যা করেনি’। ‘বরং তাকে আল্লাহ নিজের পানে উঠিয়ে নিয়েছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ পরাক্রান্ত ও প্রজ্ঞাময়’ (নিসা ৪/১৫৭-১৫৮)।

ইহুদিদের অভিশপ্ত হওয়ার ১০টি কারণ
ঈসা (আ.)-এর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করায় আল্লাহ ইহুদিদের উপর নানাবিধ দুনিয়াবী গজব নাযিল করেন (বাক্বারাহ ২/৫৯)। তাদের কেন শাস্তি দেওয়া হয়েছিল সূরা নিসা ১৫৫-৬১ আয়াতে সেগুলি বর্ণিত হয়েছে, যা সংক্ষেপে নিম্নরূপ:

(১) তাদের ব্যাপক পাপাচার (২) আল্লাহ্র পথে বাধা দান (৩) সূদী লেনদেন (৪) অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ (৫) অঙ্গীকার ভঙ্গ করা (৬) নবীগণকে হত্যা করা (৭) আল্লাহ্র পথে আগ্রহী না হওয়া এবং অজুহাত দেওয়া যে, আমাদের হৃদয় আচ্ছন্ন (৮) কুফরী করা (৯) মারিয়ামের প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেওয়া (১০) ঈসাকে শূলে বিদ্ধ করে হত্যার মিথ্যা দাবী করা।

উল্লেখ্য যে, ঈসা (আ.) তাঁর উপরে বিশ্বাসী সে যুগের ও পরবর্তী যুগের সকল খৃষ্টানের পাপের বোঝা নিজে কাঁধে নিয়ে প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ শূলে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে খৃষ্টানদের দাবি স্রেফ প্রতারণা ও অপপ্রচার বৈ কিছুই নয়। আল্লাহ বলেন, ‘একের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)।

ইসরাইলিদের বিভক্তি
ঈসার ঊর্ধ্বারোহনের পর তার অনুসারীরা চার দলে বিভক্ত হয়ে যায়। (১) যারা বলত, তিনি ছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। কিছুদিন দুনিয়ায় থেকে এখন তিনি আকাশে উঠে গেছেন। (২) যারা বলত, তিনি ছিলেন আল্লাহ্র পুত্র (তওবা ৯/৩০)। (৩) যারা বলত, তিনি ছিলেন আল্লাহ, ঈসা ও তার মা তিন উপাস্যের অন্যতম (মায়েদাহ ৫/৭৩, ১১৬)। (৪) যারা বলেন, তিনি ছিলেন আল্লাহ্র বান্দা ও তাঁর রাসূল (নিসা ৪/১৭১)।

ইসলাম আসার পর প্রকৃত মুসলিমরাই হ’ল ঈসা (আ.)-এর যথার্থ অনুসারী। সূরা ছফ ১৪ আয়াতে ‘বিশ্বাসীদের আল্লাহ তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহায্য করলেন ও তারা বিজয়ী হ’ল’ বলতে উম্মতে মুহাম্মাদীকে বুঝানো হয়েছে (ইবনু কাছীর), যারা ঈসা ও মুহাম্মাদ উভয় নবীর উপরে বিশ্বাস স্থাপন করেছেন এবং তারা কাফের ও মুশরিকদের উপর দুনিয়া ও আখেরাতে বিজয়ী হয়েছেন।

৪. শেষনবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত
বাবেল সম্রাট বুখতানছর কর্তৃক কেন‘আন (ফিলিস্তিন) থেকে উৎখাত হওয়ার পর ইহুদিরা ইয়াসরিবে এসে বসবাস শুরু করে এই উদ্দেশ্যে যে, আখেরী নবীর আবির্ভাব যেহেতু মক্কায় হবে এবং তাঁর আবির্ভাবের সময় আসন্ন, অতএব তারা দ্রুত তাঁর দ্বীন কবুল করবে এবং তাঁর নেতৃত্বে আবার বায়তুল মুক্বাদ্দাস দখল করবে। তবে তাদের ধারণা ছিল যে, আখেরী নবী অবশ্যই তাদের নবী ইসহাক-এর বংশে হবেন। কিন্তু তা না হ’য়ে ইসমাইল-এর বংশে হওয়াতেই তারা শত্রু হয়ে গেল।

মদীনার তিনটি ইহুদি গোত্র বনু ক্বায়নুক্বা, বনু নাযীর ও বনু কুরায়যার নেতারা সর্বদা মুসলমানদের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত থাকত। এদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, সম্পদশালী ও মুসলমানদের প্রতি সর্বাধিক বিদ্বেষপরায়ণ ছিল বনু ক্বায়নুক্বা। ফলে বদর যুদ্ধের পর দ্বিতীয় হিজরীর ১৫ শাওয়াল রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদের দুর্গ অবরোধ করেন ও দু’সপ্তাহ অবরোধের পর তারা আত্মসমর্পণ করে। অতঃপর তাদেরকে সর্বপ্রথম মদীনা থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর একই কারণে ৪র্থ হিজরীতে বনু নাযীরকে এবং ৫ম হিজরীতে বনু কুরায়যাকে বিতাড়নের মাধ্যমে মদীনাকে ইহুদিমুক্ত করা হয়।

বনু নাযীর খায়বরে নির্বাসিত হয়ে সেখান থেকে কুরায়েশদের সাথে ষড়যন্ত্র করে মদীনাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে, যার ফলে সম্মিলিত শত্রু বাহিনীর হামলার মাধ্যমে ৫ম হিজরীতে ‘খন্দক যুদ্ধ’ সংঘটিত হয়। খন্দকের যুদ্ধে মদীনার সর্বশেষ ইহুদি গোত্র বনু কুরায়যা সন্ধিচুক্তি ভঙ্গ করে শত্রুবাহিনীকে সাহায্য করে। ফলে উক্ত যুদ্ধ শেষে তাদেরকে মদীনা থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে পুনরায় বিতাড়নের জন্য ৭ম হিজরীতে খায়বর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তারা সেখানে রাসূল (সা.)-কে দাওয়াত দিয়ে তাঁকে বকরীর বিষমাখানো ভূনা রান খাইয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে (বুখারী হা/৩১৬৯; মিশকাত হা/৫৯৩৫)। (চলমান)
লেখক: আমীর, আহলে হাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
তৌহিদুজ জামান ৩১ মে, ২০২১, ৩:০৪ এএম says : 0
বনি ইসরাইলদের ইতিহাস (দু‘একজন নবী বাদে)সকল নবী রসুলদের বিরুদ্ধাচারণের ইতিহাস
Total Reply(0)
গাজী ফজলুল করিম ৩১ মে, ২০২১, ৩:০৭ এএম says : 0
আর সে সময়ের কথা স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি কেয়ামত দিবস পর্যন্ত তাদের (বনি ইসরাইলদের) ওপর এমন লোকদের কর্তৃত্ব দান করবেন, যারা তাদের কঠিন শাস্তি দিতে থাকবে। তোমার প্রতিপালক দ্রুত শাস্তিদানকারী এবং সেই সঙ্গে তিনি অতিক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
Total Reply(0)
বদরুল সজিব ৩১ মে, ২০২১, ৩:০৭ এএম says : 0
মি পৃথিবীতে তাদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত করে দিয়েছি। সুতরাং তাদের মধ্যে সৎকর্মশীল লোকও ছিল এবং কিছু অন্য রকম লোকও। আমি তাদের মঙ্গল ও অমঙ্গল দিয়ে পরীক্ষা করি, যাতে তারা (সঠিক পথে) ফিরে আসে। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৬৭-১৬৮) তাফসির : আলোচ্য আয়াতদ্বয়ে ইহুদিদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং তাদের অশুভ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ইহুদি সম্প্রদায়ের উদ্ভব ও বিস্তৃতি লাভের দীর্ঘ ইতিহাস লক্ষ করলে আমরা দেখতে পাই, তারা মানবসভ্যতার আদি যুগ থেকে এক সুপরিচিত ও সৌভাগ্যবান জাতি। সবচেয়ে বেশি নবী-রাসুল তাদের বংশ থেকেই আগমন করেছেন। তা সত্ত্বেও বরাবরই তারা আল্লাহ ও তাঁর নবীদের সঙ্গে চরম অবাধ্যতার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছে। অসংখ্য নবী-রাসুলকে তারা হত্যা করেছে। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের স্থায়ী আজাবে পাকড়াও করেছেন।
Total Reply(0)
জোবায়ের খাঁন ৩১ মে, ২০২১, ৩:০৮ এএম says : 0
ইহুদিদের অব্যাহত পাপাচার, অনাচার ও ঔদ্ধত্যের কারণেই আল্লাহ তাআলা কেয়ামত পর্যন্ত তাদের এমন সব শাসকগোষ্ঠীর অধীন করে দেবেন, যারা তাদের ওপর অত্যন্ত খারাপভাবে অত্যাচার করতে থাকবে।
Total Reply(0)
কামরুল ইসলাম ৩১ মে, ২০২১, ৩:০৮ এএম says : 0
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ইহুদিরা নিজেদের পিতৃভূমি থেকেও বহুবার বিতাড়িত ও নির্বাসিত হয়েছে। অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর কাছে বহুবার তাদের দাসত্ব বরণ করতে হয়েছে।
Total Reply(0)
বিসর্জন আরিফ ৩১ মে, ২০২১, ৩:০৯ এএম says : 0
ইহুদিদের প্রতি আরেকটি শাস্তির কথা বলা হয়েছে। আর তা হলো পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে তাদের বিক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। কোনো দেশে তাদের সমবেতভাবে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তবে সময়-অসময় তাদের জীবনেও আসবে।
Total Reply(0)
মুহাম্মাদ মোসাদ্দেকুল ইসলাম ১ জুন, ২০২১, ১০:৩৯ পিএম says : 0
ইহুদিরা অবশ্যই একদিন ধ্বংস হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন