শেরেবাংলানগরের হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সিট সংখ্যা অপ্রতুল। চারদিন এ হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে থেকে যা লক্ষ্য করেছি তা-ই উপস্থাপন করছি। এ ওয়ার্ডে আটটি কক্ষে ৬৪ জন রোগী। বাথরুমে যাবার পথে আরো ৮টি সিট। মোট ৭২টি সিট ছাড়া প্রতি কক্ষে দু’পাশে রোগীদের সিটের মাঝখানে যাতায়াতের পথেও ২ জন করে রোগী কখনো কখনো রাখা হয়। এ ছাড়া ওয়ার্ডে ঢোকার পথের দু’পাশে মাঝে মধ্যে রোগীদের সিট দেয়ার ওষুধ ও খাবারবাহী ট্রলিসহ সবারই চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়।
রোগীদের পরিচর্চায় থাকা স্বজনরা রোগীর খাবার প্লেট, পেয়ালা এমনটি খাওয়ার পরে হাত ধোয়ার সমস্যায় পড়েন বেশি। কারণ বেসিন একটি থাকলেও সেখানে একটি কল সম্পূর্ণ নষ্ট। দু’দিকে চারটি গোসলখানার একটি নষ্ট। ডান দিকের দুই গোসলখানার একটির মেঝে ফাটা, সেখানে সবসময় পানি জমে থাকে। বাম দিকেরটায় মাথা ছাড়া কল। টয়লেটের কথা বলাইবাহুল্য। দু’দিকে পাঁচটি টয়লেটের দু’টির ভেতরে সিটকানি না থাকায় শৌচকর্মের সময় হাত দিয়ে দরজা ঠেলে রাখতে হয়। দুয়েকটি টয়লেটে বদনা আছে, পানির কল নেই।
পরিশেষে বেসিনের কলটি ঠিক করা জরুরি-প্রয়োজনে চারটি করা যায় কি-না ভেবে দেখবেন। টয়লেটের সিটকানি ও মাথা ভাঙা কলের মাথা ঠিক করা প্রয়োজন। রোগীদের ক্যান্টিন থেকে সাত টাকা দিয়ে পানি কিনে পান করার সমস্যা সমাধানে নার্সদের রুমের সামনে বা প্রতি ওয়ার্ডের সামনে দুটো ফিল্টার বসানো যেতে পারে। সর্বোপরি ইনস্টিটিউটের তলা সম্প্রসারণ করে ওয়ার্ড বৃদ্ধি করা হোক।
শামসুল করীম খোকন
মাতৃছায়া, তেজগাঁও, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন