শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে জনদুর্ভোগ

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনা মহামারি সঙ্কটে কর্মসংস্থান অভাবের সাথে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ খুব কষ্টে আছেন। টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ হবার পর থেকে পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম ক্রমশ নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে চালের দাম বৃদ্ধির প্রবণতাও অব্যাহত রয়েছে। তবে আজ থেকে ১০ দিনের জন্য জেলা ও উপজেলা সদরে চিনি, তেল ও ডাল বিক্রি করবে টিসিবি।

ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের খোলাবাজারে দেশীয় পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকা অতিক্রম করেছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজও ৫৫ টাকা কেজি। মসুর ডাল ১শ’ টাকা কেজি। মুগ ডালের কেজি ১৩০-১৩৫ টাকা। খেসারি ডাল ৮০-৮২ টাকা কেজি। সয়াবিন তেল লিটারে আরো ৫ টাকা বেড়ে ১৪৫-১৪৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোজা ও ঈদুল ফিতরের পরে চিনির দাম কমার আশা করা হলেও তার কোন লক্ষণ নেই। এখনো দক্ষিণাঞ্চলের খোলা বাজারে চিনির কেজি ৭৫ টাকা।

চালের বাজারে আরো ৬ মাস আগে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে এখনো নিম্ন-মধ্যম মানের ‘বি-আর ২৮’ বা ‘২৮-বালাম’ চালের কেজি ৪৫ টাকা। আর মধ্যম ভালো মানের মিনিকেট চালের কেজি প্রায় ৬০ টাকা। সারা দেশে আমনের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে বেশি হলেও ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে চালের দাম বেড়ে যায় কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এরপরে বোরো ধানের ভালো ফলন হলেও চালের দাম আগের পর্যায়ে হ্রাস পায়নি। বরং তা ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী।

আজ টিসিবি দক্ষিণাঞ্চলে মাত্র ৩টি পণ্য নিয়ে বাজারে ফিরছে। বরিশাল মহানগরীতে আগের ৮টি ট্রাকের স্থলে এবার মাত্র ৫টি এবং জেলা পর্যায়ে ১টি ট্রাকে চিনি, মসুর ডাল ও ভোজ্য তেল বিক্রি করবে সংস্থাটি। এর বাইরে উপজেলা সদরগুলোতে পর্যায়ক্রমে এসব পণ্য বিক্রি হবে বলে টিসিবি সূত্রে জানা গেছে। তবে টিসিবির অতি সীমিত এ পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন না ভোক্তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন