শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘পরিবেশবান্ধব গ্রিন ফ্যাক্টরি’ উদ্যোক্তাদের দূরদর্শিতার ফল

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

এখন পর্যন্ত ১৪৩টি পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা হিসেবে ইউএসজিবিসি থেকে ‘লিড প্লাটিনাম’ সনদ পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪১টি প্লাটিনাম কারখানা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কারখানার ৩৯টিই বাংলাদেশে অবস্থিত। আরও প্রায় ৫০০টি কারখানা সার্টিফিকেশনের অপেক্ষায় আছে। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদের দূরদর্শিতা ও প্রবল ইচ্ছা শক্তি ও উদ্যোগের কারণে। গতকাল তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাকখাতে কিছু অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার পর আমরা শিল্পটিকে পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ নেই। বিগত প্রায় এক দশকে আমাদের উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিরাপত্তা থাতে হাজার কোটি টাকা ব্যয়, এবং সরকার-ক্রেতা-উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় আজকে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প একটি নিরাপদ শিল্প হিসেবে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছে। পরিবেশ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা শিল্পে আমল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এই উদ্যোগ ও অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হযেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এ খাতে নিরাপদ, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে গর্ব করার মতো কিছু অর্জন তুলে ধরতে চাই। হংকং ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অডিট প্রতিষ্ঠান ‘কিউআইএমএ’ এর মতে এখিকাল সোর্সিং এর দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষস্থানে। মূলত গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনের গুণগত মান, কমপ্লায়েন্স, কর্মঘণ্টা ও শ্রমমানের বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি এমন একটি সময়ে এসেছে যখন করোনার মহামারির কারণে এ শিল্পে একটি সংকটময় সময় পার করছে। শত প্রতিক‚লতার মধ্যেও এই অর্জন নি:সন্দেহে আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের কর্মীদের লিঙ্গ বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রেও এ শিল্পে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, কমপ্লায়েন্স, কারখানায় পেশাগত নিরাপত্তা বিধানেও বাংলাদেশ উল্লেখযগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। এসব অর্জনের মাধ্যমে যে বিষয়টি প্রমাণিত হয় তা হলো আমাদের সহনশীলতা, উদ্যোক্তাদের একনিষ্ঠতা, গতিশীলতা, ত্যাগ ও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়। আর এসব অর্জনের মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে সফল হয়েছি। বিশ্বে বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হযেছে। গত ১০ বছরে আমরা রফতানি দ্বিগুণের বেশি করতে সক্ষম হয়েছি। ২০১১ সালে যেখানে রফতানি ছিল ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০১৯ সালে আমরা ৩৩ দশমিক এক বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছি। ২০২০ সালে রফতানিতে বৈশ্বিক মহামারির একটি প্রভাবটি খুবই স্পষ্ট। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সবার সহায়তায় এই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন