কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে “মেসার্স আলম এন্ড কোম্পানী নামে একটি নকল জ্বালানি তেল ও নিম্নমানের বিটুমিন তৈরীর অবৈধ কারখানায় র্যাবের অভিযানে আব্দুল মান্নান (৪৮) ও ফোরকান (২৩) নামে দু’জনকে আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর সদস্যরা।পরবর্তীতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অীফসার ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম মঞ্জুরুল হক এর ভ্রাম্যমাণ আদালতে উক্ত অপরাধের জন্য উভয়কে কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। অভিযানে আটককৃত দুইজন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার গুনবতী গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে মোঃ আব্দুল মান্নান (৪৮) কে ০১ (এক) বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার মোঃ মোস্তফা এর ছেলে মোঃ ফোরকান মাহমুদ (২৩) কে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর উপ-পরিচালক ও কোম্পানী অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিবের নেতৃত্বে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় অবস্থিত নকল জ্বালানি তেল ও বিটুমিন তৈরীর এ কারখানা সিলগালা করা হয়। এসময় কারখানায় কর্মরত মান্নান ও ফোরকান নামে দু’জনকে আটক করেছে র্যাব।
স্থানিয় সাইফুল ইসলাম জানান,তারা এলাকার প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে এখানে জ্বালানি তেলের গুদাম ও নকল বিটুমিন তৈরী করে আসছে। এই কারখানার আসে পাশে অনেক বাড়িঘর আছে। এইগুলা ধার্য পদার্থ যদি কোন ভাবে আগুল ধরে দুই-তিন কিলোমিটার জুড়ে আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব বলেন , দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের আলম মিয়ার ছেলে মো: আব্দুল হান্নান আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এ কারখানায় অবৈধ উপায়ে পোড়া মবিলকে এসিডের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে জ্বালানি তেল ও নিম্নমানের বিটুমিন তৈরী করে আসছিল। এছাড়াও মহাসড়কে চলমান লরি, কন্টিনারসহ বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভারদের সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে কমদামে চোরাই জ্বালানি তেল কিনে গুদামজাত করে বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বেশি মুনাফায় বিক্রি করে আসছিল।
মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব আরো বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রামের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল জ্বালানি তেল ও নিম্নমানের বিটুমিন তৈরীর কারখানা সিলগালা করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এখানে পরিবেশগত ঝুঁকির মধ্য দিয়ে পোড়া মবিলকে এসিডের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে জ্বালানি তেল ও নিম্নমানের বিটুমিন তৈরী করে আসছিলো একটি অসাধু চক্র। এঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়। আটকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। কারখানার মালিক আব্দুল হান্নান পলাতক রয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত বলা যাবে
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অীফসার ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম মঞ্জুরুল হক জানান, প্রতিষ্ঠান ব্যবহৃত পুরাতন মবিল বিøচিং পাউডার ও সালফিউরিক এসিড দ্বারা অননুমোদিত ও অবৈধভাবে পরিশোধন করে নকল ও ভেজাল ডিজেল, মবিল উৎপাদন করে বাজারজাত করত। মবিল পরিশোধনের বর্জ্য নকল বিটুমিন হিসেবে অসাধু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রয় করত বলে জানা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন