করোনা সংক্রমণ রোধে নোয়াখালী পৌরসভা ও নোয়াখালী সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে তৃতীয় দফায় আরও ৭দিন বাড়ানো হয়েছে বিশেষ লকডাউন। লকডাউন চলবে আগামী ২৫জুন পর্যন্ত। লকডাউন সফল করতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলা ও লকডাউন অমান্য করায় পৌরসভাসহ ছয়টি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে ২০হাজার ৩০০টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার সকালে নোয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত ১৪দিনেরমত আজও শহরে দূরপাল্লার সকল যানবাহন বন্ধ রয়েছে। শপিংমল, বিপনী বিতান ও বড় মার্কেটগুলো বন্ধ রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয়দ্রব্য, জরুরি সেবা ও শিশু খাদ্য বহনকারী কিছু যানবাহন চলাচল করছে। তবে ভিন্ন চিত্র শহরের অলিগলি ও ভিতরের সড়কগুলোতে। সিএনজি অটোরিকশাগুলো আগেরমত ৪-৫জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করে প্রধান সড়কে আসলে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। শহরের বাইরে অর্ধেক সাটার (দরজা) খুলে চলছে সকল ধরনের দোকান-পাট। বাজারে আসা বেশির ভাগ লোকজন মানছেন না স্বাস্থ্য বিধি।
এদিকে লকডাউন সফল করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করছে। অভিযানকালে লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৯টি মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে ২০হাজার ৩০০টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়াও শহরের একাধিকস্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫জুন প্রথম দফায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৭দিনের বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। কিন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় দ্বিতীয় দফায় গত ১২জুন আরও ৭দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেন ওই কমিটি। দুই দফায় সংক্রমণে কিছুটা পরিবর্তন আসলেও তা সন্তোষজনক না হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি বৈঠকে আগামী ২৫জুন পর্যন্ত চলমান লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন