ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে আগামী ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকের আহবান করেছেন। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়ায় এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। জম্মু-কাশ্মীর রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করতে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদির এটিই সবচেয়ে বড় ও প্রথম পদক্ষেপ। -কলকাতা ট্রিবিউন, খাসখবর, এই সময়
গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, জম্মু-কাশ্মীরে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা ছাড়াও, কেন্দ্র সরকারশাসিত অঞ্চলকে পূর্ণ রাজ্যের দেওয়া ও মর্যাদা বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা বাতিল করাসহ রাজ্যটিকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত ছিল। ওই সিদ্ধান্তের আগে, রাজ্যের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি, ডা. ফারুক আবদুল্লাহ এবং ওমর আবদুল্লাহসহ অনেক বড় বড় নেতাকে জম্মু-কাশ্মীরে গৃহবন্দী করা হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় বহু সাধারণ নেতা-কর্মীকে। শেষমেশ কয়েক মাস পরে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত শুক্রবার (১৮ জুন) এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। এতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা, গোয়েন্দা ব্যুরোর (আইবি) পরিচালক অরবিন্দ কুমার, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস (র) শাখার প্রধান সামন্ত কুমার গোয়েল, আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের মহাপরিচালক কুলদীপ সিং এবং জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। উভয় বৈঠকই জম্মু-কাশ্মীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি সভানেত্রী মেহেবুবা মুফতি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ নিয়ে আজ রোববার তারা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন। পিডিপি ছাড়াও সেখানকার আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছে বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন