তার যখন ১৭ বছর বয়স, তখন ডাক্তাররা জানিয়েছিল যে তিনি কখনও সন্তানের মা হতে পারবেন না। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সে ফুটফুটে এক মেয়ে শিশুর জন্ম দিয়েছেন তিনি। এখন সুস্থ আছে মা ও শিশু। মার্কিন ওই নারীর নাম আমান্ডা গ্রæয়েনেল। আমান্ডার বয়স যখন ১৬ বছর তখন তিনি বুঝতে পারেন তার শরীরে কিছু একটা সমস্যা আছে, কেননা তখনও তার মাসিক শুরু হয়নি। এক বছর পর একজন ডাক্তার তাকে জানান, তার জরায়ু নেই তাই তিনি কখনও সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না। আমান্ডা বলেন, যখন আমার বয়স ১৬ বছর, তখনই আমি বুঝেছিলাম কিছু একটা সমস্যা আছে। আমার মাসিক হচ্ছিল না। যখন আমার বয়স ১৭ বছর তখন জানতে পারি যে, আমার জরায়ু নেই। ডাক্তাররা জানিয়েছিল, আমি কখনও সন্তানের মা হতে পারবো না। আমার জরায়ু প্রতিস্থাপন করা যাবে না বলেও জানিয়েছিল তারা। কিন্তু ৩২ বছর বয়সে এসে মা হওয়ার ইচ্ছা প্রবল হয়ে ওঠে আমান্ডা। তখন তিনি উপায় খুঁজতে থাকেন। তখনই তার এক বন্ধু আমান্ডাকে জানায়, ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকে জরায়ু প্রতিস্থাপনের পরীক্ষা প্রোগ্রামে খোঁজ নিতে। এসময় তার বন্ধু-বান্ধব, পরিবার এবং আমান্ডার সেই সময়ে বাগদত্তা জন পুরো প্রক্রিয়াতে সহায়তা করেছে। এর কিছুদিন পরই ট্রায়ালের জন্য আমান্ডাকে বাছাই করা হয়। একজন মৃত দাতার জরায়ু আমান্ডার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় এবং আইভিএফ পদ্ধতিতে সফলভাবে গর্ভধারণ করেন আমান্ডা। চলতি বছরের মার্চ মাসে সুস্থ-সবল একটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেন আমান্ডা। ওই শিশুর নাম গ্রেস রাখে আমান্ডা। জন্মের সময় গ্রেসের ওজন হয়েছিল ৬ পাউন্ড ১১ আউন্স। টাইমস নাউ নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন