করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সারাবিশ্বে আজ শোনা যাচ্ছে হাহাকারের প্রতিধ্বনি। যেখানে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো ভাইরাসের সংক্রমণে নাজেহাল অবস্থা সেখানে মধ্যম বা নিম্ন আয়ের দেশগুলোর অবস্থা তো আরো শোচনীয়। বিভিন্ন দেশের বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলেও এখনো শতভাগ কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারেনি। আর এ-ই মহামারীর সম্মুখে থেকে আপ্রাণ চেষ্টায় লড়ে যাচ্ছে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদের নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে জেনেও তারা আপ্রাণ প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে এ-ই ভাইরাসে আক্রমণ থেকে রোগীদের বাঁচিয়ে তোলার জন্য। তারা তাদের এই দায়িত্বের জন্য তাদের পরিবারের সাথে তেমন যোগাযোগও করতে পারছে না, শুধু এ-ই ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাঁচানোর জন্য। নিজেদের প্রতি তেমন একটা দেখভালও করতে পারছে না। অথচ দেখেন আমরা তাদের সাথে কেমন ব্যবহার করছি। হাসপাতালে একটি সিট না পাওয়ার জন্য আমরা ডাক্তারদের দোষারোপ কিরছি। যেখানে প্রতিনিয়ত হাসপাতালে রোগীদের ভিড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে তাদের দোষারোপ করা আদৌ উচিত? যেখানে একজন করোনা রোগীর আশেপাশে তার নিকটাত্মীয় স্বজনেরা থাকতে চায় না, তখন সেখানে একমাত্র ডাক্তাররাই তাদের জীবনের পরোয়া না করে রোগীদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। তাই আমাদের সকলের উচিত, ডাক্তারদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করা ও তাদের মানসিকভাবে সাপোর্ট করা।
প্রসেনজিৎ কুমার রোহিত
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন