শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হকার্স শ্রমিক আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলনের মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, হকাররা আজ সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষণ ও বঞ্চনার শিকার। হকারদের পুনর্বাসন না করে এবং নোটিশ ছাড়াই বার বার হকার্স উচ্ছেদ করে অত্যন্ত নির্মমতার দিকে ঠেলে দেয়া হয়। কেননা একজন হকারের উপর তার পুরো পরিবার নির্ভরশীল। হকার নির্যাতন বন্ধ ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে হকার্সদের ব্যবসার করার সুযোগ করে দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। হকারদের শ্রম নিয়ে পুঁজিপতিরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও হকাররা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পায়নি। অথচ ইসলাম শ্রমিকদের যথার্থ মর্যাদা দিয়েছে। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন হলে শুধু মানুষ নয়, বনের পশুরা পর্যন্ত তাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাবে। তাই তিনি সকল স্তরের শ্রমিকদের ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
১৯-০৯-১৬ সকাল ১০টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে হকার্স শ্রমিক আন্দোলন-এর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। হকার্স শ্রমিক আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহাম্মদ শামসুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ভুঁইয়ার পরিচালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আশরাফ আলী আকন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি আলহাজ আব্দুর রহমান ও হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, কেএম বিল্লাল। এছাড়াও হকার্স শ্রমিক আন্দোলন ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
কাউন্সিলে মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ভুঁইয়া সভাপতি, মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং মুহাম্মদ জাকির হোসন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়।
মুহাম্মদ আশরাফ আলী আকন বলেন, দেশে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলছে। প্রচলিত আইন দিয়ে সমাজের চলমান এসব অস্থিরতা রুখা যাবে না। সকল অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে ইসলামী শাসনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, যে শ্রমিক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফষল ও দ্রব্য উৎপাদন করে সে পণ্য তার ছেলে মেয়েরা উপভোগ করতে পারে না। যে শ্রমিক লক্ষ কোটি মানুষের জন্য ওষুধ তৈরি করছে তার ছেলেমেয়েরা চিকিৎসায় ওষুধ পাচ্ছে না। তেমনিভাবে যে শ্রমিক কাগজ তৈয়ার করছে, খাতা এবং বই বাইন্ডিং করছে টাকার অভাবে তার ছেলেমেয়েরা অর্থভাবে সঠিকভাবে লেখা পড়া করতে পারছে না।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ শামসুল হক ইসলামে মহান আল্লাহ পাক শ্রমজীবী মানুষের যে অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন তা তুলে ধরে বলেন, শ্রমজীবী মানুষ আজও তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
ইসলামী ঐক্যজোট
২০-দলভুক্ত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রকীব এডভোকেট বলেন, জিয়ার স্বাধীনতা পদক ছিনতাই একটি অকল্পনীয় ব্যাপার। বাংলার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী, মুজিব, জিয়াÑ কারো অবদানকে অস্বীকার করা হবে চরম অকৃজ্ঞতা ও বেঈমানী। স্বাধীনচেতা মুজিব ও জিয়ার মৃত্যুতে বাহিরের হাত থাকতে পারে, যারা এদেশের উপর নিজেদের আধিপত্য চায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, রণাঙ্গনের বীর সেনানী, জননন্দিত নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানকে জনগণের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না। জিয়া একাধারে স্বাধীনতার ঘোষক, অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপকার ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক। ঐসব জাতীয় নেতৃবৃন্দ থাকলে আজ সীমান্তে মানুষ হত্যা, সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতির সুযোগ থাকত না। জাদুঘর থেকে জিয়ার স্বাধীনতা পদক সরিয়ে ফেলার কর্মকা- রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রসূত। তিনি এসব অপকর্ম বাদ দিয়ে একটি সর্বজনগ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে তুলে ধরার জোর দাবি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন