জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। জরুরি রোগীকে রেফার করার জন্য এম্বুলেন্স সার্ভিসও রয়েছে এইসব হাসপাতালে। কিন্তু এম্বুলেন্স সার্ভিসটি মূল্যহীন হয়ে যায় যখন ভাড়া নিয়ে দরকষাকষি শুরু হয়। সরকারি এম্বুলেন্স সার্ভিসকে সার্ভিস না বলে ভাড়ায় চালিত সরকারি ব্যবসায়ী যানবাহন বলা দরকার। কারণ জরুরি রোগীকে উন্নত হাসপাতালে রেফার করার জন্য সরকারি এম্বুলেন্সে যেতে হলে দরকষাকষি করে ভাড়া নির্ধারণ করতে হয়। গরীব রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা দানকারী সরকারি এই যানবাহনে উঠার সাহসই পায় না। সরকারি হাসপাতালের এই এম্বুলেন্স সার্ভিসটি কিভাবে চলছে তা দেখার কেউ নেই। এম্বুলেন্স সার্ভিসের এই দুরবস্থা নিরসন করা দরকার। ভাড়ায় নয় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের এম্বুলেন্স সার্ভিস ফ্রি করা হোক।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
গ্রাম: আছানধনী মিয়া পাড়া, ডাক : চাপানী হাট,
উপ : ডিমলা, জেলা : নীলফামারী।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ ক্ষুব্ধ
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গরীব এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের ভোগান্তির শেষ নেই। প্রতিদিন বাজারে যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য হু হু করে লাগাম ছাড়া বাড়ছে তাতে সাধারণ ও গরীব মানুষই সমস্যার মধ্যে পড়ছে। দেশের পাইকারী বাজারে জিনিস-পত্রের দাম অনেক কম থাকলেও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে স্থানীয় খুচরো বাজারগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দাম আকাশচুম্বি।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্ব স্ব জেলা প্রশাসক অফিসের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দাম লাগাম ছাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেখার কেউ নেই। চাল, ডাল, ভোজ্য, তেল, চিনি, পিঁয়াজ, আলু, ডিম, শাক-সবজি, মাছ-মাংস, মুরগী ইত্যাদির দামে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে। রমজান মাসের আগে থেকেই একটানা গত তিনমাস ধরে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিস-পত্রের মূল্য লাফিয়ে বৃদ্ধি ঘটানো হলেও কেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সিটি কর্পোরেশন নির্বিকার তা নিয়ে ক্রেতা সাধারণ প্রশ্ন তুলছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকার অসাধু ব্যবসায়ী ও কালোবাজারি চক্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেশবাসী সরকারের ভূমিকায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
আহ্বায়ক, সচেতন নাগরিক সমাজ ১৭
ফরিদাবাদ- গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন