কঠোর' লকডাউনের প্রথম দিনে আজ বৃহস্পতিবার পুলিশের পাশাপাশি টহল ছিল সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবি সদস্যদের। এদিন লকডাউন দেখতে কিংবা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া কয়েকশ মানুষকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এমতাবস্থায় লকডাউনের প্রথম দিন কেমন ছিল রাস্তার পরিস্থিতি?- তার অভিজ্ঞতা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্য তুলে ধরেছেন।
লকডাউনের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে শাওন খান লিখেছেন, ‘‘আমাদের যাত্রাবাড়ি কোনাপাড়ায় মেইন রোডের পাশের সব দোকান পাট খোলা। আর চিপা-চাপার কথা বাদই দিলাম, চায়ের দোকানে লকডাউন দেখতে ভিড় জমাইছি এখন।’’
মিরাজ মাহফুজ (ছদ্মনাম) লিখেছেন, ‘‘আজ সকালে শেরপুর টাউনের বাসস্ট্যান্ড মোড়, বেশকিছু পুলিশ সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। পুলিশ থাকা সত্বেও মানুষ চলাচলের কমতি নেই। অনেক লোক অহেতুক দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশকে যেন তারা গোণায়ই ধরছে না, পুলিশও বসে বসে সিগারেট টানছে। একটু পরেই আর্মির ৬/৭ টা জিপ এসে থামলো, আর্মির সদস্যরা গাড়ি থেকে নামলেন, লাইন ধরে দাঁড়ালেন, কাউকে কিচ্ছু বললেন না। কী আশ্চর্য!!! মাত্র ৫ মিনিটে পুরা মোড় একদম ফাঁকা!’’
ফরিদ তার অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন, ‘‘বন্ধুর ভাই ফ্রান্স থেকে আসবেন আজ, টিকেট, পাসপোর্টের ফটোকপি কপি পাঠিয়ে দিয়েছে বাড়িতে যেন রিসিভ করতে আসা গাড়ি পুলিশ আটকে না দেয়। যথারীতি পুলিশ টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়েছে। করোনা হয়তো একদিন রুখা যাবে কিন্তু পুলিশকে হারাম খাওয়া থেকে রুখবে কে?’’
ওবায়দুল ইসলাম অপু লিখেছেন, ‘‘আমি আরো বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখেছি যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বা হচ্ছে তারা প্রত্যেকেই জীবিকার তাগিদে বের হয়েছে তাদের খাওয়ার টাকা নেই অথচ মোবাইল কোর্ট তাদের জরিমানা করছে যারা দিতে পারছে না তাদের ধরে থানায় নিয়ে যাচ্ছে এগুলা সম্পূর্ণ ভাওতাবাজি, এসব কাজ বন্ধ করেন, এর বদলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলা ত্রাণ-সাহায্যর মাধ্যমে সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন তাহলেই মানুষ বাহিরে যাবে না ঘরে বসে থাকবে.... আর একটা কথা যারা বড়লোক এবং করোনার ভয় আছে তারা বাইরে যায় না যারা করোনাকে উপেক্ষা করে দুমুঠো খাবার খোজে তারাই বাইরে যায়...!’’
মুনশি সাহেব লিখেছেন, ‘‘যা হোক এবার অনেকটা আশাব্যঞ্জক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। পুলিশ অনেক এ্যাকটিভ। তেজগাঁও কুনিপাড়ায় হোটেলে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে গেছে। চারদিকে থমথমে অবস্থা।’’
এম আর হোসাইন মজা করে লিখেছেন, ‘‘ওদিকে গাদাগাদি করে পোশাক শ্রমিকেরা কর্মস্থলে যাচ্ছেন করোনার প্রটেকশন তৈরি করতে। শিল্প কারখানাতে নাকি করোনা প্রবেশের অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ।’’
কাজী মাসুদ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘লকডাউন মানতে জনগণকে বাধ্য করাতে সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ তবে যারা অনাহারী, ক্ষুধার্ত তাদের জন্য খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে কারণ সরকারি আমলা,নেতা-নেত্রী তারা মুখে জনগণের পাশে থাকার কথা বলে বাসায় বসে লকডাউন উপভোগ করছেন।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন