শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

তিতাসের বকেয়া ৭৮ কোটি ৩৫ লাখ

বিজিএমইএ’র ১২৯ কারখানা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২১, ১২:০৪ এএম

করোনার প্রভাবে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ২৪৪টি কারখানার কাছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিডেটের বকেয়া বিলের পরিমাণ ১৪২ কোটি ৮১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। চলতি বছরের মে পর্যন্ত কারখানাগুলোর কাছে এ পরিমাণ বকেয়া জমেছে। যদিও ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা যাচাই করে দেখা গেছে, ১১৫টি প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ’র সদস্যই নয়। এর মানে দাঁড়ায়, বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১২৯টি পোশাক কারখানার কাছে তিতাস বকেয়া বিল পাবে।

ওই ১২৯টি পোশাক কারখানার মধ্যে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের তিন মাসের কম এবং ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের চার মাসের কম গ্যাস বিল বকেয়া রয়েছে। এ পরিসংখ্যান মতে, বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে তিতাসের মোট বকেয়ার পরিমাণ ৭৮ কোটি ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা গেছে, করোনার বিরূপ প্রভাবে পোশাক শিল্প মালিকরা আর্থিকভাবে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ চলে আসায় বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে তিন মাসের বেশি বকেয়া পরিশোধ করা না হলে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা উল্লেখ করে তিতাসের পক্ষ থেকে বিজিএমইএকে সতর্ক করা হয়।

তিতাসের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়, বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে তিতাসের প্রায় ১৪৩ কোটি টাকা বকেয়া বিল পাওনা আছে। যথাসময়ে বকেয়া বিল পরিশোধ করা না হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো পদক্ষেপও নেয়া হতে পারে।

তিতাসের তাগাদা পাওয়ার পর বিজিএমইএ’র নেতারা এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে তিতাসের কাছে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বকেয়া পরিশোধের জন্য কারখানা মালিকদের আরো কিছুদিন সময় দেয়ার আবেদন করেন পোশাক শিল্প মালিক-নেতারা।

বিজিএমইএর মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমানের স্বাক্ষর করা ওই চিঠিতে বলা হয়, সংগঠনের সদস্যভুক্ত পোশাক শিল্প মালিকরা নিয়মিত গ্যাস বিল পরিশোধের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। এর আগে তারা নিয়মিত গ্যাস বিল পরিশোধ করে আসছেন উল্লেখ করে আরো বলা হয়, আমাদের সদস্যরা নিয়মিত গ্যাস বিল পরিশোধ করে আসছেন। কখনো কখনো অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সামাল দিতে গিয়ে গ্যাস বিল বকেয়া পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে তিতাস কর্তৃপক্ষকে কারখানা মালিকদের সুযোগ দেয়ার আবেদন জানাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন