বাংলাদেশে আইএমএফ মিশন চিফ রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর একটি প্রতিনিধিদল গতকাল গুলশানস্থ বিজিএমইএ পিআর অফিসে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আইএমএফ’র প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলে ঢাকাস্থ আবাসিক প্রতিনিধি জায়েন্দু দে এবং সিনিয়র অর্থনীতিবিদদ্বয় রিতু বসু এবং এস্টেল জুয়ি লিউ। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মিরান আলী, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী এবং পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন মিশন সেল এর চেয়াম্যান শামস মাহমুদ। তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, শিল্পের সুযোগসমূহ, ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে শিল্পের কৌশলসহ পোশাক শিল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর শুল্ক কাঠামোয় পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব এবং বাজার প্রবেশাধিকার প্রভৃতি বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেন। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আইএমএফ প্রতিনিধিদলকে বিজিএমইএ’র নতুন নাইন ডট লোগোসহ বিজিএমইএ এর নতুন রূপকল্প সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ তার টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ নির্ধারণ করেছে, যার লক্ষ্য টেকসই এবং অর্থনীতি, পরিবেশ ও জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে আরএমজি শিল্পের প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে। বিজিএমইএ সম্প্রতি তার টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ উন্মোচন করেছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধিকে এমনভাবে তরান্বিত করা, যা টেকসই এবং অর্থনীতি, পরিবেশ এবং জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ অনুসারে সংস্থাটির নির্ধারণ করা লক্ষ্যমাত্রায় শতভাগ লিঙ্গ সমতা, অন্তর্ভ‚ক্তি এবং শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে এই সময়ের মধ্যে পোশাকখাতে ৬ মিলিয়ন লোকের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পাশাপাশি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির লক্ষ্য রয়েছে।
ফারুক হাসান পোশাক শিল্পের রূপকল্প বাস্তবায়নে আইএমএফের সহায়তা চেয়েছেন, যা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন