বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উদীয়মান সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো এবং সেইসাথে শিল্পের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সরকারের সহায়তা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। গতকাল বুধবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সাথে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক হাসান কোভিড মহামারির প্রথম ঢেউ এবং দ্বিতীয় ঢেউ চলার সময়ে তৈরি পোশাক শিল্পকে সহায়তা প্রদানের জন্য পোশাক শিল্প পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এই সহায়তা শিল্পটিকে বেঁচে থাকতে ও কোভিড মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্প বর্তমানে ব্যবসার কাঠামো পুনর্নিধারন এবং উদ্ভাবন, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও প্রযুক্তি আপগ্রেডেশন এর মাধ্যমে মূল্য সংযোজন এবং প্রযুক্তি আপগ্রেডেশন এর মাধ্যমে শিল্পকে টেকসই ও ব্যয়সাশ্রয়ী করতে মনোযোগ ক্রমশ বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন এবং শিল্পের সুযোগ ও সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানোর জন্য সরকারের সহায়তা শিল্পের জন্য জরুরি।
বিজিএমইএ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ড. আহমদ কায়কাউস এর কাছে ১.৫ কোটি টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। বিজিএমইএ কোভিড মহামারির কারনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য এই অনুদান প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে প্রদান করেছে। এসময় বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহিদউল্লাহ আজিম, মিরান আলী ও পরিচালক আসিফ আশরাফ উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ ড. আহমদ কায়কাউসের সাথে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং সম্ভাবনা ও সুযোগ কাজে লাগানোর কৌশলগুলো নিয়েও আলোচনা করেন। তাদের আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশের এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তোরণ ও সেইসাথে রফতানিমুখী বানিজ্যে সম্ভাব্য প্রভাব এবং এলডিসি পরবর্তী সময়ের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহনের মতো বিষয়গুলোও অন্তর্ভূক্ত ছিলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন