পুলিশ সুপার (এসপি) সেজে দোকানীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের সময় সাধারণ মানুষের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় ভুয়া এসপি। তবে পালানোর সময় এসপির বডিগার্ডকে আটক করে জনগণ। পরে বডিগার্ডকে পুলিশের কাছে সোপার্দ করা হয়।
গত সোমবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার এলংগী ক্লিকমোড় এলাকায় এই প্রতারণার ঘটনা ঘটে। পলাতক ওই ভুয়া এসপির নাম মোঃ শরিফ (৪৫)। তিনি কুষ্টিয়া সদর থানার কালিশংকরপুর এলাকার মৃত নিয়ামতের ছেলে। বডিগার্ড রবীন্দ্র চন্দ্র দাস (৩৫) একই থানার চর মিলপাড়ার আনন্দ চন্দ্র দাসের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার বিকেলে ৩ টার দিকে এলংগী ক্লিকমোড় এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে অজ্ঞাত দুইজন আসে। প্রথমে মুদিদোকানী রিয়াজ মুন্সীর দোকানে যায়। সেখানে কথিত বডিগার্ড বলেন, এসপি স্যার আসছে। এখনও দোকান খোলা। ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেন। টাকা না দেওয়ায় কিলঘুষি শুরু করে। পরে এক হাজার টাকা দেয় রিয়াজ মুন্সী। এরপর তারা রিয়াজের পাশের মাছের ব্যবসায়ী শাজাহানের কাছে গিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মাছ বিক্রেতা ৫০০ টাকা দেন। তারপর ক্লিকমোড় থেকে হাফ কিলোমিটার দূরে আসাদুল স্টোরে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এক পর্যায়ে পূর্বের দোকানীরা ধারণা করে, তাঁরা ভুয়া পুলিশ। পরে লোকজন নিয়ে ধাওয়া দেয়। এসময় ভুয়া এসপি লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে জনগণের হাতে আটক হয় বডিগার্ড। পরে বডিগার্ডকে পুলিশের হাতে সোপার্দ করেন জনগণ।
এ বিষয়ে ভুয়া এসপির বডিগার্ড রবীন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ। সাহায্যের জন্য টাকা তুলছিলাম।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, একজন আটক আছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন