এমবিবিএস পাস না করেই তিনি এফসিপিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। গ্রাম গঞ্জের সাধারণ মানুষকে এফসিপিএস ডিগ্রির ফাঁদে ফেলে চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। দীর্ঘদিন ধরেই সঞ্জয় পাল নামের কথিত চিকিৎসক বিপুল পরিমান তড়িৎ সঞ্জয় কল্যাণের কথিত চিকিৎসক কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে চিকিৎসাসেবার নামে অপকর্ম করে আসছিলেন।
অবশেষে বুধবার রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী বাজারে অবস্থিত নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সঞ্জয় পালকে হাতেনাতে ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তিনি এমবিবিএস পাশ ও এফসিপিএস ডিগ্রির কোন সনদ দেখাতে না পারায় তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক।
কুমিল্লায় এমবিবিএস পাস না করেই নামের পাশে এফসিপিএস ডিগ্রি ব্যবহারের দায়ে সঞ্জয় পাল (৩৮) নামে এক কথিত চিকিৎসককে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত কথিত চিকিৎসক সঞ্চয় পাল চট্টগ্রামের খুলশী থানার বিবেক চন্দ্র রায়ের ছেলে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তমালিকা দে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার গুণবতী বাজারে অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন এবং এমবিবিএস পাশের কোনো ডকুমেন্টস না দেখাতে পারায় ও নামের সঙ্গে এমবিবিএস, এফসিপিএস ডিগ্রি ব্যবহারের দায়ে সঞ্জয় পাল নামে ওই কথিত চিকিৎসককে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া টিপু ও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন