শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বেহাল সড়কে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ

প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে

হাটহাজারী উপজেলার পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (এটিআই) সড়ক। রংগী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ফায়ার সেন্টার পর্যন্ত প্রায় দেড় কি.মি এই সড়কে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে লাগেনি কোন উন্নয়নের ছোঁয়া এমনটি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কের মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। কার্পেটিং উঠে গিয়ে দুই শতাধিক স্থানে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পাশাপাশি এই সড়কের ২০টি স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ ৩/৪টি গ্রামের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ছাড়াও প্রতিদিন এই সড়ক দিয়েই আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, সদ্বিপ পাড়া মাধ্যমিক ও প্রাইমারী স্কুল, সেনা বোহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জ ও বেশ কয়েকটি বেসরকারি মুরগীর খামারের লোকজনদের চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। চলাচল অনুপযোগী সড়কটি অনতিবিল¤ে মেরামতে এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই সড়কের জন্য এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভে বিক্ষোভ করাসহ সম্প্রতি গত ২২ আগস্ট উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবরে স্বারক লিপিও দিয়েছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, মাঝারি ও ভারি যানবাহন চলাচল করতে করতে সড়কটি ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে দেখলেই মনে হয় পাহাড়ের কোন জনপদ এই এলাকা! প্রায় ২০টি স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগের যেন কোন শেষ নেই। জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতরত রোগীদের পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। মো. জমির নামে স্থানীয় এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটিআই রোড়ের কোন মা-বাপ নেই। থাকলে কি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সড়কটি এইভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়? আর এদিকে কয়েকটি ইট ভাটার মালিকদের ইট বহনকারী ট্রাককে বেশি দায়ী করছেন অনেকে কারণ এই গ্রামীণ সড়ক দিয়ে বড় বড় ইটবাহী ট্রাক চলাচল করলে সড়কের অবস্থা এমনেই খারাপ হবে। সিএনজি অটোরিক্সার কয়েকজন চালক জানান, এই সড়কে এক প্রকার বাধ্য হয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। চলাচল অনুপযোগী এই সড়কে গাড়ি চালানোর ফলে কয়েকদিন পরপর গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আমাদের এই সড়কটির কি কোন উন্নয়ন হবে না। হাটহাজারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌরসভা সহায়ক কমিটির সদস্য মো. আলী আজম জানান, এটিআই সড়কের সাথে বিমাতা সূলভ আচরণ করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সড়কটির কোন উন্নয়ন হয়নি। সড়কটির উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। হাটহাজারী পৌরসভা প্রকৌশলী বেলাল আহমদ খাঁন জানান, হাটহাজারী বাজার থেকে রংগী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কে আরসিসি ঢালাইসহ মোট ৩টি পৃথক প্রকল্পে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই বিদ্যালয় থেকে পশ্চিম দিকের কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত ড্রেনও নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের দিকে বাকি সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে ইট ও খোয়া দিয়ে কিছুটা যানচলাচল উপযোগী করা হয়েছিল। তবে চলমান বর্ষার কারণে সড়কটি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কটি কার্পেটিং করতে বড় বাজেটের দরকার রয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অফিসিয়ালি জানিয়েছি। তাছাড়া যানচলাচল উপযোগী করতে পৌরসভা সামনের বাজেট থেকে একটি বরাদ্দ পাব বলে আশা করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন