যুক্তরাজ্যের সরকার মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশের পর্যটন খাত ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন খাতকে চাঙা করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। করোনাভাইরাস টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন- এমন যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম শিথিল করা হচ্ছে। বুধবার দেশটির পরিবহনমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। সেটি পাস হয়ে গেলে চলতি জুলাইয়ের শেষ থেকে কার্যকর হবে এই নিয়ম। -রয়টার্স
করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর থেকে বিশ্বের বহু দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে যুক্তরাজ্য। যেসব দেশের সঙ্গে বর্তমানে বিমান যোগাযোগ চালু আছে, সেই দেশসমূহের যাত্রীদের ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাধ্যতামূলক ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া, এখন বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া বেশিরভাগ দেশে এখনও আঠারো বছরের কম বয়সীদের টিকার আওতায় আনা হয়নি। এতদিন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনাও জারি করেনি ব্রিটেনের সরকার। যুক্তরাজ্যের পর্যটন ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক যেসব কিশোর-কিশোরী তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে ব্রিটেনে আসতে ইচ্ছুক- কোয়ারেন্টাইন এড়াতে তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সে ব্যাপারেও হাউস অব কমন্সে নির্দেশনা প্রস্তাব করবেন গ্র্যান্ট শ্যাপস।
জুলাই এবং আগস্ট – এই দুই মাসে ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশি বিদেশী পর্যটকের সমাগম ঘটে। বিদেশী এসব পর্যটকদের অধিকাংশই আসেন স্পেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালি থেকে। মহামারি ঠেকাতে ১৫ মাস ধরে লকডাউনসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি রেখেছে যুক্তরাজ্য, কিন্তু এই বিধিনিষেধের ফলে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি ও জনজীবন। সম্প্রতি অবশ্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা দিয়েছেন, চলতি ১৯ জুলাই থেকে করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে যুক্তরাজ্যে। দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন