নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে রাস্তা থেকে বাংলাদেশী অনুভব খান মুন্না বরকত (২২) এর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ৯ টায় বরকত তার বাইকযোগে উবার ফুড ডেলিভারির দেয়ার সময় একটি বেপরোয়া গাড়ির চাপায় তিনি নিহত হন। পুলিশ ম্যানহাটনের ইস্ট হিউস্টন ও ক্লিনটন স্ট্রিট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ম্যানহাটনের বেলভিউ হসপিটালে নিয়ে যায়। মুন্না বরকতের লাশ হসপিটালের মর্গে রয়েছে। আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফ হোসেন পুলিশের বরাত দিয়ে ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান। মুন্না বরককে চাপা দেয়া সেই গাড়ি জব্দ কিংবা ঘাতক ড্রাইভারকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।
শরিফ হোসেন জানান, মুন্না বরকত ম্যানহাটানে বাইকে উবার ফুড ডেলিভারির কাজ করতো। ব্রুকলীনের চার্চ ম্যাকডোনাল্ড এলাকার বাসিন্দা মুন্না বরকত এর দেশের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার নবগ্রামে। তিনি প্রায় ৩ বছর আগে বাইরোডে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের প্রসপেক্ট পার্ক সিটিতে লিপন আহমেদ তালুকদার (৩১) নামে এক বাংলাদেশি যুবক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। গত বুধবার (৭ জুলাই) স্থানীয় সময় দুপর সাড়ে ১২টার দিকে প্রসপেক্ট পার্ক সিটি হলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লিপন আহমেদ তালুকদারের খালাতো ভাই তারেক আহমেদ চৌধুরী এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
তারেক চৌধুরী জানান, গত বুধবার দুপুরে নিহত লিপন আহমেদ তার বাইসাইকেলে চড়ে রাস্তা পাড় হচ্ছিল ওই সময় দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার তাকে চাপা দেয়। পরে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত লিপন আহমেদের মামা প্রসপেক্ট পার্ক সিটির কাউন্সিলম্যান মুহাম্মদ আবুল হোসেন সুরমান জানান, নিহত লিপন আহমেদ তালুকদার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ৮ নং রাউৎগাঁও ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা আমেরিকার প্রবাসী লনু মিয়া তালুকদার এর মেজ ছেলে। তিনি আরও জানান, তাঁর ভাগিনা লিপন আহমেদ ৪ বছর আগে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় আমেরিকায় আসে।
মৃত্যুকালে তিনি বাংলাদেশে স্ত্রী, এক বছরের এক শিশু পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। লিপন আহমেদ তালুকদার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হবার খবর পাওয়ার পর নিউজার্সিতে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিনিউটিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অনেক বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অথবা সরাসরি বাসায় গিয়ে লিপন আহমেদের পরিবারের সাথে দেখা করে লিপনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন