শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সরকার সিন্ডিকেট করে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দেশের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি করেছে অপরদিকে গরীব, দুঃখী ও এতিমদের হক নষ্ট করেছে। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে চামড়ার মূল্য যখন অনেক বেশি তখন বাংলাদেশে চামড়ার ন্যায্য মূল্য না দিয়ে গরীব, দুঃখী ও মাদরাসার এতিমদের বঞ্চিত করে জঘন্য খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সরকার চামড়ার মূল্য প্রতি ফুট ৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও এই দরে কোন ট্যানারীর মালিক চামড়া কিনেনি। কিন্তু ঈদের দিন মাদরাসার এতিমখানাসহ সারাদেশের গরীব মানুষের হক পশুর চামড়ার মূল্য নামমাত্র টাকায় কিনছে বেপারীরা। ইতিহাসে এমন নজির দ্বিতীয় আর নেই। সরকার সিন্ডিকেট করে কওমী মাদরাসাকে ধ্বংস করছে এবং চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বানানোর জন্য কাজ করছে। আমরা সরকারের এহেন কর্মকা-ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
(২) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা জেলা সভাপতি আলহাজ সৈয়দ আলী মোস্তফা বলেছেন, সরকার চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করছে। অপরদিকে চামড়ার ন্যায্য মূল্য না দিয়ে গরীব, অসহায় ও এতিমদের হক বিনষ্ট করছে। তিনি বলেন, কুরবানীর পশুর চামড়া এটা সমাজের গরীব, অসহায় ও এতিমদের হক। আন্তর্জাতিকভাবে চামড়ার চড়া মূল্য থাকলেও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার গভীর চক্রান্ত চলছে। চামড়ার অর্থের মাধ্যমে দেশের একটি বৃহৎ শিক্ষা ব্যবস্থা কওমী মাদরাসাগুলো পরিচালিত হয়ে থাকে। ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো মাদরাসা শিক্ষাকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্যই এ ধরনের কাজ করছে। কিন্তু তাদেরকে মনে রাখতে হবে মাদরাসাগুলো আল্লাহর অসীম রহমতে পরিচালিত হয়ে থাকে, কারো দয়ায় নয়।
গতকাল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা শাখার মজলিসে আমেলার এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সেক্রেটারী আলহাজ শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সহ-সভাপতি আলহাজ হানিফ মিয়া, জয়েন্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান, মুফতী আব্দুল করীম, মুহা. হাসমত আলী, মাওলানা নূর হোসাইন, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, আলহাজ আবদুর রাজ্জাক বেপারী, আতিকুর রহমান, মুফতী ইজহারুল ইসলাম, মাওলানা কামাল উদ্দিন, আবু বকর, টি এম মাহফুজুর রহমান, আলহাজ ইউনুছ আলী, মাষ্টার আবদুল কাদের প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদী সিলেবাস দ্বারা ভাল মানুষ তৈরি হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলছেন সন্ত্রাস নির্মূল করতে হবে কিন্তু ইসলামী শিক্ষা বাদ দিয়ে কখনো সন্ত্রাস নির্মূল সম্ভব হবে না। সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ বন্ধ করতে হলে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তারা নতুন বছর আসার আগেই সিলেবাস সংশোধন করে নতুন বই ছাপা এবং বিতরণের দাবি জানান। অন্যথায় সর্বত্র আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
(৩) ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, এদেশের উলামা-মাশায়েখ, ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও সর্বোপরি মুসলমানদের সেন্টিমেন্টকে কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে একতরফাভাবে শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করার অপরিনামদর্শী খেলায় মেতে উঠলে ঈমানদার জনতা নীরবে বসে থাকবে না। সর্বত্র প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠবে।
তিনি বলেন, সাধারণ বিষয়ের একই পাঠ্যবই মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানো হলে হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত মাদরাসা শিক্ষা তার স্বাতন্ত্রতা হারাবে। অর্থাৎ স্কুল ও মাদরাসা শিক্ষার মধ্যে শুধু নামের পার্থক্য ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। বর্তমানে মাদরাসা শিক্ষার সকল আবশ্যিক বই তার স্বকীয়তা ও সমমান বজায় রেখে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত হয়ে থাকে। ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোতে সাধারণ ধারার প্রাথমিক শিক্ষার অনুরূপ এক ও অভিন্ন শিক্ষাক্রম পাঠ্যবই পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হলে মাদরাসা সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে কার্যত সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
১৭ সেপ্টেম্বর পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক জরুরি পরামর্শ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন