কিছুদিন আগেই ব্রিটেনের একটি যুদ্ধজাহাজকে গুলি করে তাড়িয়ে দিয়েছিল রাশিয়া। এবার দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ফের সংঘাতে জড়াল চীন ও আমেরিকা। সোমবার বিতর্কিত পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের পাশে একটি মার্কিন রণতরীকে তাড়া করে চীনা নৌবহর।
চীনের দাবি, পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের পাশে তাদের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে ‘ইউএসএস বেনফোল্ড’ নামের একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। কমিউনিস্ট দেশটির সেনাবাহিনী ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’র সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ডের বক্তব্য, দক্ষিণ চীন সাগরে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে আমেরিকা। এমন ‘আগ্রাসী কার্যকলাপ’ থেকে আমেরিকাকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছে চীনা ফৌজ। এদিকে, এই ঘটনায় পাল্টা বিবৃতি জারি করেছে মার্কিন নৌসেনার সপ্তম নৌবহর। তারা জানিয়েছে, পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের পাশে আন্তর্জাতিক আইন ও সাগরে চলাচলের অধিকার মোতাবেক রণতরীটি টহল দিয়েছে। সাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় যাতায়াতের স্বাধীনতা বজায় রাখা হবে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলবে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগরে বেশ কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত পারাসেল দ্বীপপুঞ্জ। খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ ওই গোটা অঞ্চলটি নিজের বলে দাবি করে চীন। একইসঙ্গে ওই অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে এসেছে ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বরাবরই আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন রয়েছে লাল চীনের। বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে বরাবর নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চেয়েছে বেইজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেইজিং। প্রায় গোটা এলাকাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। পাল্টা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা।
বিশ্লেষকদের মতে, ‘ড্রাগন’কে রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। সদ্য সমাপ্ত জি ৭ বৈঠকের মঞ্চেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখে শোনা গিয়েছে সংঘাতের সুর। তবে শুধু দক্ষিণ চীন সাগর নয়, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বরাবরই কৃতিত্ব কায়েম করতে সচেষ্ট জিনপিং সরকার। কখনও জাপান, কখনও ফিলিপাইন তো কখনও আমেরিকার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে বেইজিং। সূত্র: এসসিএমপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন