একইদিনে আজ শনিবার ঢাকায় পা রাখছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং মার্কিন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসন। যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে যুক্তরাষ্ট ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই তারা বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও কুয়েত সফরের কথা রয়েছে মার্কিন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসনের। তবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু ঢাকা সফর করবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরে ওয়াশিংটনের বহুপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুটি গুরুত্ব পাবে। এছাড়া বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, মানবাধিকার ও রোহিঙ্গা ইস্যু থাকবে আলোচনার টেবিলে।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ৬ আগস্ট সকালে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন এবং ৭ তারিখে ফিরে যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ৭ আগস্ট সকালে তিনি বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। ওয়াং ই-এর সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানান, চীনের সঙ্গে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এক বিবৃতির মাধ্যমে আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ অব্যাহতভাবে ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলবে। এরপর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ তাইওয়ান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতির প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের মতপার্থক্য নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছে।
চীনের কড়া হুঁশিয়ারির পরও ২ আগস্ট তাইওয়ানে যান যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এরপর তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরেু করে চীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন