বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের সাবেক পাকিস্তানী কোচ নাভিদ আলম আর নেই। ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালে লাহোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন নাভিদ আলম। চিকিৎসাও নিয়েছেন যথাসাধ্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না অলিম্পিক গেমস এবং ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান জাতীয় দলের খেলোয়াড় নাভিদ আলমকে।
নিজ ক্যারিয়ারে বেশ বড় মাপের খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলেছেন একটানা বেশ কয়েক বছর। পাকিস্তান অলিম্পিক জয়ী দলের সদস্য হওয়ায় নিজেকে ‘অলিম্পিয়ান নাভিদ আলম’ নামে পরিচয় দিতে গর্বিত বোধ করতেন। খেলা ছেড়ে কোচিং পেশায় এসে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সুনামের সঙ্গেই কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত দুই দশকের বেশি সময় বাংলাদেশ হকির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন নাভিদ। নব্বইয়ের দশকে উষা ক্রীড়া চক্রে খেলেছেন। পরবর্তী সময়ে কোচ হিসেবে এসেছেন বাংলাদেশে। ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন নাভিদ আলম। পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে হকি ছাড়া ব্যাংকিং পেশায় কর্মরত ছিলেন পাকিস্তান হকির এই কিংবদন্তী।
নাভিদ আলমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ হকি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। লাল-সবুজের কোচ হিসেবে ঢাকায় অবস্থানের সময় তার সঙ্গে সবার সদ্ভাব গড়ে উঠেছিল। বিশেষ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে নাভিদের ছিল সু-সম্পর্ক। বাংলাদেশে হাসিখুশি নাভিদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও বর্তমান হকি ফেডারেশনের সদস্য রফিকুল ইসলাম কামাল। নাভিদের মৃত্যুর খবর শোনার পর কামাল বলেন,‘কিছুক্ষণ আগে শুনলাম নাভিদ আর নেই। খুবই খারাপ লাগছে। একজন ভালো বন্ধু হারালাম আমি। বাংলাদেশ হকিও হারাল একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। এত দ্রুত নাভিদ ভাই চলে যাবেন ভাবতেই পারিনি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন