হাতিয়ার উপজেলার তমরদ্দি-চরকিং ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার মেঘনা নদী থেকে পাচারকালে ১ কোটি ৬০লাখ গলদা চিংড়ির রেণু পোনা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ২০লাখ টাকা। এ সময় একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে আজমার খাল এলাকা থেকে পোনাগুলো জব্দ করা হয়। পরে সকাল ৭টায় মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মেঘনা নদীতে পুনঃরায় পোনাগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, হাতিয়ার মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় নেটজাল দিয়ে প্রতিনিয়ত গলদা চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছের পোনা ধরছে একটি অসাধুচক্র। পরে তারা মাছের পোনাগুলোর ভিতর থেকে গলদা চিংড়ির পোনা আলাদা করে বাকি পোনাগুলো নষ্ট করে ফেলে। এতে চিংড়ির পাশাপাশি অন্য মাছের প্রজনন দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হাতিয়ার মেঘনা থেকে ধরা গলদা চিংড়ির রেণু পোনাগুলো নৌ-স্থল পথে খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার করছে এ চক্রটি। মেঘনা নদীতে মাছের প্রজনন রক্ষায় এ চক্রটিকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীরা।
কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন কমান্ডার লে. এ এস এম লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে মেঘনা নদীর আজমার খাল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় চরচেঙ্গা থেকে চেয়ারম্যানঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক করা হয়। ওই নৌকায় থাকা ৬০টি প্লাস্টিকের ঢাম থেকে ১ কোটি ৬০লাখ গলদা চিংড়ির রেণু পোনা উদ্ধার করা হয়। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকায় থাকা পাচারকারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
স্টেশন কমান্ডার লে. এ এস এম লুৎফর রহমান জানান, উদ্ধারকৃত গলদা চিংড়ির রেণু পোনগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ২০লাখ টাকা। সকালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাসের উপস্থিতিতে কোস্টগার্ড থেকে পোনগুলো মেঘনা নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। নদীর মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন