শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : সড়ক নির্মাণ বিটুমিন না কংক্রিটে

প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সড়ক নষ্টের জন্য মূলত দায়ী করা হয় পানিকে। আমাদের দেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়। পানি হল বিটুমিনাসের প্রধান শত্রু। তাই পিচঢালা পথগুলো খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এর বিপরীতে কংক্রিটের রাস্তার পানি সহন ক্ষমতা রয়েছে। সিমেন্টের পানি সহন ক্ষমতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। তাই কংক্রিটের সড়ক তৈরি করলে পানি সংস্পর্শে এলে এটি আরো টেকসই হবে এরকমই ধারণা পোষণ করেন বিশেষজ্ঞরা। কংক্রিটের রাস্তার আরো কিছু সুবিধা রয়েছে। সড়কের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বিটুমিনাসের চেয়ে কংক্রিটের রাস্তা বেশি নিরাপদ। যেসব রাস্তায় আলো নেই, সে ক্ষেত্রে কংক্রিটের রাস্তায় গাড়ির আলোর প্রতিফলনের জন্য ভালো দেখা যায়। আবার গাড়ির ব্রেকিংয়ের জন্যও এটা তুলনামূলক বেশি নিরাপদ। এছাড়া কংক্রিটের রাস্তা জ্বালানি সাশ্রয়ী, স্থায়িত্ব অনেক বেশি এবং পরিবেশবান্ধব। বিটুমিনাসের সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে সাড়ে পাঁচ গুণ জ্বালানি বেশি খরচ হয়। যেমন : এক মাইল রাস্তা নির্মাণের জন্য কংক্রিট ব্যবহারে ৫৫০ গ্যালন জ্বালানি খরচ হলে বিটুমিনাসে নয় হাজার গ্যালন জ্বালানি খরচ করতে হয়। আবার বিটুমিনাস সার্ফেসে ৫৭ শতাংশ বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করতে হয়। একসময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কংক্রিটের রাস্তা ছিল। এখন প্রায় নেই বললেই চলে। এখন সারা দেশেই বিটুমিনাসের রাস্তা। আর পুরো দেশের রাস্তার বেহাল অবস্থা নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করছে কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণে। কিন্তু কংক্রিটের রাস্তাই কি সমাধান?
পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোনো কোনো রাস্তা কংক্রিটের আবার কোনো কোনো রাস্তা বিটুমিনাসের তৈরি করা যেতে পারে। ঢাকার ভেতরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে হবে, যেন এখানে সেখানে পানি জমে না থাকে। ঢাকার কিছু কিছু এলাকায় কংক্রিটের রাস্তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কংক্রিটের রাস্তা ভালোই চলছে। আর কিছু কিছু এলাকায় কংক্রিটের রাস্তা এক বছর যেতে না যেতেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একই জিনিস কেন এক জায়গায় টিকে থাকল আর অন্য জায়গায় নষ্ট হয়ে গেল? এ বিষয়গুলো খুঁজে বের করে তবেই কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হঠাৎ করেই আমরা যদি ঢালাওভাবে কংক্রিটের রাস্তার দিকে সরে যাই তাহলে যে কারণে বিটুমিনাসের রাস্তা থেকে সরে আসছি, একই কারণে পাঁচ বছর পর কংক্রিটের রাস্তা থেকেও সরে যেতে হতে পারে। তাই তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে দেশের বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজে বের করা দরকার।
আবু তাহের
ঢাকা।

অজ্ঞান পার্টি নির্মূল করুন
রাজধানীসহ সারা দেশে বেপরোয় হয়ে উঠেছে অজ্ঞান পার্টি। মাঝে মধ্যে এর ধরাও পড়ে। কিন্তু তাদের কী ধরনের শাস্তি হলো তা আর পত্রিকায় দেখি না। লোকমুখে শুনি দুএক মাস এদের জেল হয় এবং ছাড়া পেয়ে আবার আগের পেশায় ফিরে যায়। অজ্ঞান পার্টি বাস, ট্রেন, লঞ্চ-টার্মিনাল ও শপিং মলেও তৎপর। এরা খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায়। অজ্ঞান পার্টি এতাটাই বেপরোয়া যে তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে কাউকে মেরে ফেলতেও পিছ পা হয় না। অজ্ঞান পার্টির হাত থেকে রেহাই পেতে হলে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়াতে হবে। সম্ভব হলে এদেরকে চিরতরে নির্মূল করতে একটি কঠোর আইন হওয়া উচিত। যেমন ধরা পড়লেই ফাঁসি। এই আইন বাস্তবায়িত হলে চিরতরে অজ্ঞান পার্টি নির্মূল করা সম্ভব হবে, নচে’ৎ নয়। এর ব্যাপরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন