জার্মানি ও বেলজিয়ামে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন। দেশ দুইটিতে বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, গাছপালা ভেঙে গিয়েছে, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছে অনেকের গাড়ি। দেশ দুইটিতে অন্তত ১৭০ জন মারা গিয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর এখন শুরু হয়েছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। সূত্র, বিবিসি।
বন্যায় অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের উদ্ধারের জন্য এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। যার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জার্মানি।
ইউরোপের কিছু অঞ্চলে শনিবারও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বন্যা। অস্ট্রিয়ার সলজবার্গে উদ্ধারকারীরা অনেককে বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছেন। সেখানে একটি শহরের অনেক বাড়িঘর এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়েছে।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের কর্তৃপক্ষ বলছেন, স্টেইনবাচটাল বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। এটি ভেঙে যেতে পারে। এই এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় নেতারা বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দুষছেন। জার্মানি-বেলজিয়াম ছাড়াও সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডসেও বন্যা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে এমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে আরো বড় রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। শিল্পযুগ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
শুধু জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ১৪৩ জন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে চারজন উদ্ধারকর্মী রয়েছেন। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া, রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট ও সারল্যান্ড রাজ্য। খবরে বলা হচ্ছে, হাজারের মানুষ এই বন্যায় নিখোঁজ হয়েছেন। সূত্র : বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন