শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে বন্যা : ৫হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত পানির নীচে

কুড়িগ্রাম থেকে শফিকুল ইসলাম বেবু | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:১০ এএম

ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।কুড়িগ্রামে ধরলা ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।তবে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমার এখনো বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার কারণে নি¤œাঞ্চল গুলো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্যাক্রান্ত হওয়ায় মানুষজন পড়েছে ভোগান্তিতে। পানি বাড়া আর কমার কারণে নদ-নদী গুলোর তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা, ভাঙামোড়, কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা, ভোগডাঙা, পাঁচগাছি, মোগলবাসা, রাজারহাট উপজেলার ছিনাই, বিদ্যানন্দ, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে জানা গেছে, পঞ্চম দফা বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজেলার শতাধিক চর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। নৌকা ও কলাগাছের ভেলা ছাড়া যাতায়াতের কোন মাধ্যম নেই। প্রায় ৫ হাজার হেক্টর অধিক আমন ও সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় অনেকেই গবাদী পশু নিয়ে বাঁধ ও রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। ধরলা অববাহিকার কয়েকটি গ্রামে প্রবল ¯্রােতে ভেসে গেছে শতাধিক ঘর বাড়ি। পানি বাড়ার ফলে বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদীর ভাঙন তীব্ররূপ নিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে বসতভিটা,কৃষি জমিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা এবং বাঁধ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মইনুদ্দিন ভোলা জানান, নদীর তীব্র ¯্রােতে যাত্রাপুরের গারুহারা গ্রামে গত দুইদিন ধরে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন ঠেকানোর কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানায়, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের ২০টিরও বেশি পয়েন্টে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সাময়িক ভাবে ভাঙ্গন ঠেকানোর কাজ করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন অফিস জানায় জেলায় বন্যার্তদের মাঝে ১২ মে.টন চাল ও ২হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন