অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে খুলনাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার বানভাসী লাখ লাখ মানুষ। প্রবল জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে খুলনা সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের শত শত গ্রাম প্লাবিত হয়েছ।
পাইকগাছা, কয়রা, রামপাল, মংলা, শরণখোলা, আশাশুনি, শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পানিতে ভেসে গেছে গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগি। ধ্বসে পড়েছে শত শত কাঁচাঘরবাড়ি। রান্না-বান্না ও গৃহস্থালীর কোন কাজ করতে না পারায় শুকনা খাবারেই নিভাতে হচ্ছে তাদের পেটের ক্ষুধা। অনেকের বসত ঘর পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট। সব মিলিয়ে কষ্টের কোন শেষ নেই দুর্গত এলাকার মানুষের।
প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এর আগে কখনো তারা এতো পানি দেখেনি। তাই অতিদ্রুত সরকারি সহায়তা প্রত্যাশা করেছে বানভাসি মানুষ। তবে বন্যাদুর্গতদের সকল প্রকার সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের উপকুলীয় এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় সহ¯্রাধিক কিলোমিটার বেঁড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়রা, পাইকগাছা, শরণখোলা, মংলা, আশাশুনি, শ্যামনগর উপজেলায়।
এছাড়া গত তিন মাস ধরে উপকুলীয় এলাকার নি¤œাঞ্চলের লোকালয়ে চলে জোয়ার-ভাটা। তার উপর বর্তমান অমাবশ্যার গোনে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩/৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫/৬ দিনের জোয়ারে ও প্রবল বর্ষনে যে সমস্ত এলাকায় রিংবাধ দিয়ে পানি বন্ধ করা হয়েছিল সেগুলো আবারো ছুটে যায়। এরফলে জোয়ার-ভাটা বইছে লোকালয়ে ও বাড়ির উঠানে। মানবেতর জীবন যাপন করছে খুলনাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দূর্গত এলাকায় ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে দূর্গতরা। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব। অনেকেই এখন বাড়িঘর ছেড়ে শহরের দিকে ছুটছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন