শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ক্লাবগুলোতে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট দেয়া নিয়ে সমালোচিত বরিস জনসন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২১, ১০:০৯ পিএম

‘ফ্রিডম ডে’ উপলক্ষে লকডাউন বিরোধী সমাবেশ। সোমবার লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কোয়ারে।


ব্রিটেনে মহামারিকে কেন্দ্র করে প্রায় এক বছর ধরে চলা লকডাউন বিধি সোমবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু স্বস্তি দেয়া তো দূর, সাধারণের চিন্তা বাড়িয়ে রীতিমতো ‘উপহাস’ হয়ে দাঁড়াল ব্রিটেনের এই ‘ফ্রিডম ডে’!

যে দিন জনগণকে বিধিমুক্ত করছে প্রশাসন, সে দিনই দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবস্থা ন্যাশনাল হেল্‌থ সার্ভিসেস (এনএইচএস)-এর ট্র্যাক অ্যান্ড ট্রেস সিস্টেম-এর তরফে ব্রিটেনবাসীদের একটা বড় অংশের কাছে মেসেজ গিয়েছে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার। এই ঘটনায় বিরোধীরা তো বটেই প্রশাসনের সমর্থকদেরও কটাক্ষ, ‘‘দিনটিকে ‘ফ্রিডম ডে’ না বলে ‘পিং ডে’ নাম দিলে ভাল হত।’’ গত এক সপ্তাহেই প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষকে নিভৃতবাসের পরামর্শ দিয়েছে এনএইচএস। তার মধ্যেই মাস্ক না-পরা এবং পারস্পরিক দূরত্ববিধি তুলে নেয়ার প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিথ স্ট্যামারের কটাক্ষ, ‘‘এ তো সিট বেল্ট না-পরে অ্যাক্সিলরেটরে পা দিয়ে দেয়া!’’

শনিবার নিজের কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর দিয়েছেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদও। তার সংস্পর্শে আসায় সোমবার থেকেই নিভৃতবাসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। প্রথমে যদিও তা এড়িয়ে যাওয়ারই জোর চেষ্টা করেছিলেন দু’জনে। বিরোধী এবং সাধারণ মানুষের বিদ্রোহের মুখে যদিও শেষমেশ সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হন তারা।

বিধিনিষেধ উঠলেও সুপারমার্কেটগুলিতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব কপালে ভাঁজ ফেলেছে সাধারণের। কর্তৃপক্ষের মতে, আগামী দিনে পরিস্থিতি কেমন থাকবে তা নিয়ে শঙ্কার জেরেই বাড়িতে খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস মজুত করে রাখছে জনতা। তবে এ ভাবে চললে আগামী দিনে পণ্যের সঙ্কট আরও গুরুতর হতে পারে বলেই আশঙ্কা তাদের। গত কয়েক দিনে এত জন নিভৃতবাসে যাওয়ার নির্দেশ পেয়েছেন যে কর্মী সঙ্কটও দেখা দিয়েছে সে দেশে। কর্মীর অভাবে বহু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সরবরাহ ব্যবস্থার উপরেও এই কর্মী সঙ্কটের ব্যাপক প্রভাব পড়ছে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন ছাড় দিলেও মাস্ক পরারই পক্ষপাতী বাসিন্দাদের একাংশ। তবে উল্টো চিত্রও বিরল নয়। দেশ জুড়ে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হতেই নাইটক্লাবগুলিতে দেখা গিয়েছে মাস্কহীন জনতার উপচে পড়া ভিড়। গত বছর মহামারির শুরু থেকেই বন্ধ ছিল মিউজিক কনসার্ট। সোমবার থেকে তা ফের চালু হওয়ার ছাড়পত্র পাওয়ায় মানুষের ঢল নেমেছে সেখানেও। তবে তৃতীয় ঢেউ চলাকালীন এ ভাবে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় অশনি সংকেত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন