দেশব্যাপী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। তাই ঈদুল আজহার পরের দিন আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। সকাল থেকেই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীশূন্য থাকলেও দুপুরের পর থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন ষ্ট্যান্ডে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিভিন্ন স্ট্যান্ডে জড়ো হচ্ছেন যাত্রীরা। ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরার জন্য হাতে আছে শুধু আজকের দিনটি। একদিনেই ঢাকা ফিরতে হবে বিপুলসংখ্যক মানুষকে। তাই প্রতিটি গণপরিবহনে রয়েছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। ধারণক্ষমতার বাইরে যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন গণপরিবহন গুলো। এতে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের আগেই কর্মস্থলে ফিরতে হবে তাদের। এ কথা চিন্তা করেই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্ট্যান্ডের উভয়পাশে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। প্রতিটি গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। গন্তব্যে পৌঁছার এ প্রতিযোগিতা স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিল না।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দুপুর ২টায় মহাসড়কে প্রতিটি বাস ষ্ট্যান্ডগুলোতে অপেক্ষা করছে প্রায় শতাধিক মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ষ্ট্যান্ডে যাত্রীর সংখ্যা দ্বিগুন হারে বাড়ছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা এলাকায় কথা হয় ঢাকাগামী এশিয়া লাইন পরিবহনের চালক তফাজ্জলের সঙ্গে। তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আগামীকাল থেকে থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হবে। যা থাকবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। তাই মহাসড়কে ঢাকা মুখী মানুষের চাপ রয়েছে।
মহাসীন নামের এক যাত্রী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঈদের আগের দিন বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে গেছিলাম। লকডাউনের কারণে একদিনের বেশি বাড়িতে থাকা সম্ভব হয়নি। তাই আজই ঢাকা ফিরছি।
এ বিষয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে কর্তব্যরত হাইওয়ে পুলিশের পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আগামীকাল থেকে দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হওয়ায় ঈদ শেষে ঢাকা ও চট্রগ্রামমুখী মানুষ তাদের কর্মস্থলে ফিরছে। এ জন্য দুপুরের পর থেকে থেকেই ব্যক্তিগত ও গনপরিবহনের চাপ বেড়েছে মহাসড়কে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন