মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা॥ প্রশাসনের মনগড়া সিদ্ধান্তের কারণে কোনো গাড়িতেই তেল-গ্যাস দেওয়া বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করে ফিলিং ষ্টেশন মালিকগন। পরে জেলা প্রশাসনের সাথে সোমবার দুপুরে ফিলিং ষ্টেশন মালিকগন বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন ফিলিং ষ্টেশন মালিকগন।
সোমবার ২৬ জুলাই দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, অরিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানা, অরিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মেহেদী হাসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা রহমান সহ অন্যন্যরা।
জানা গেছে চলমান করোনার সংক্রামন ও লকডাউন চলাকালে প্রশাসন সিএনজি, টমটম ও ব্যক্তিগত গাড়ীতে তেল বা গ্যাস না দেয়ার জন্য মৌখিক ভাবে নিষেধ করেন। তবে প্রশাসন জরুরী রোগী বহনকারী গাড়ীতে দেয়ার জন্য মৌখিক ভাবে বলেন। এনিয়ে লকডাউন শুরুর পর থেকে প্রশাসন, ফিলিং ষ্টেশন মালিক ও জরুরী রোগী বহনকারীদের বাকবিতন্ডা চলে আসছে।
রোববার ২৫ জুলাই মেসার্স সাজ্জাদুর রহমান সিএনজি এন্ড ফুয়েল ফিলিং স্টেশনে গর্ভবতী এক নারী, ২ বছরের অসুস্থ শিশু ও একজন ক্যান্সার রোগীকে নিয়ে পৃথক তিনটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে আসেন। ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে থাকা চিকিৎসা পত্র দেখে মানবিক কারণে গ্যাস দেন। ওই গ্যাস দেয়ার অভিযোগে ফিলিং স্টেশনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ফিলিং স্টেশন কর্মচারীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে অটোরিকশার ভেতরে অসুস্থ রোগী রয়েছেন তাৎক্ষণিক দেখান। তা বিচেনায় না এনে একতরফা ভাবে জরিমানা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে কয়েকদিন পূর্বে ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার ও কর্মচারীকে নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ধরে নেয়ার।
এ সকল ঘটনার প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ফিলিং স্টেশনের মালিকগন ২৫ জুলাই বিকেল থেকে ফিলিং স্টেশন বন্ধ করে ধর্মঘটে যান। ধর্মঘট চলাকালে সরকারি গাড়ী, এ্যাম্বুলেন্স, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার সহ সকল যানবাহনে তেল সরবরাহ থেকে তারা বিরত থাকেন। সৃষ্টি হয় পুরো জেলাজুড়ে অচলাবস্থা।
জানাযায় মেসার্স সাজ্জাদুর রহমান সিএনজি এন্ড ফুয়েল ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী মনোয়ার আহমদ রহমান ও ইকবাল সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার নান্টু দাস বলেন, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে বাকি ৬৩ জেলায় এরকম আইন নেই। শুধুমাত্র মৌলভীবাজার জেলায় গ্যাস-পেট্রোল দিতে প্রশাসনের বাঁধা। আমরা লিখিত নির্দেশনা চাইলেও সেটা দেয়া হয়নি। ধর্মঘটের বিষয়টি আমরা সিলেট বিভাগীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়ে ধর্মঘটে যাই।
এ ব্যপারে সোমবার ২৬ জুলাই জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ফিলিং স্টেশন মালিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে জরুরী সেবায় নিয়োজিত যানবাহনকে তেল ও গ্যাস দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাদেরকে সরকারি প্রজ্ঞাপনের একটি কপিও দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন