রাত সাড়ে ৮ টা। নগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন সামি চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের ওয়েটিং রুমে রোগীদের ভিড়। ভিতরে চলছে একটি শিশুর সুন্নতে খতনার কাজ। সিরিয়াল দিয়ে কয়েকটি অসুস্থ শিশু নিয়ে চিন্তিত মায়েরা বসে আছেন। খুলনা শিশু হাসপাতালের কনসাল্টেন্ট তিনি, নাম ডা. শাহ মুরাদুর রহমান। করোনা পজিটিভ বলে হাসপাতাল থেকে ছুটিতে আছেন। এখনো করোনা নেগেটিভ এর রিপোর্ট পাননি। বাইরের অপেক্ষমান রোগীরা জানেন না ডাক্তার সাহেব নিজেই করোনার রোগী।
চেম্বারে ঢুকে দেখা গেল করোনা পজিটিভ এই চিকিৎসকের মুখে মাস্ক ছাড়া আর কোন সুরক্ষা সামগ্রী নেই। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি স্বীকার করলেন করোনা পজিটিভ হওয়ার পরও রোগী দেখাটা তার ভুল হয়েছে। অন্যায় হয়েছে। বারবার অনুরোধ করলেন এ সংক্রান্ত সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য।
খুলনা শিশু হাসপাতালের সুপার ডা. কামরুজ্জামানকে ফোন দেয়া হলে তিনি নিশ্চিত করেন ডা. শাহ মুরাদুর রহমান শিশু হাসপাতালের কনসাল্টেন্ট। করোনা পজিটিভ বলে ছুটি নিয়েছেন। হাসপাতালে আসছেন না।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, করোনা পজিটিভ নিয়ে একজন চিকিৎসক রোগী দেখবেন, এটা খুবই অন্যায় ও গর্হিত কাজ। চিকিৎসক হয়ে তিনি নিজেই করোনা বিস্তার করছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) আমরা এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন